দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জন মানুষ মারা গেছেন, যা গত এক মাসের বেশি সময়ের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। সর্বশেষ গত ৯ই মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। এছাড়া রবিবারও মারা গিয়েছিল ৪৭ জন।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অপেক্ষাকৃত কম, যা গত কিছুদিন ধরে আবার একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
৫০ জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আর বাকি চার জন বাড়িতে মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ এবং ১৫ জন নারী। মৃতদের অর্ধেকেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ হাজার ৫০ জন মানুষ শনাক্ত হয়েছেন।
এই সময়ে মোট ২০,৬০২টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তের এই সংখ্যা পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো আট লাখ ২৯ হাজার ৯৭২ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১৩ হাজার ১৭২ জন।
বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরে বিশেষ করে সীমান্ত-সংলগ্ন জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, জুন মাসের ৪ তারিখের পর থেকে দ্রুত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী মহানগরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় এখন সেখানে সাত দিনের লকডাউন চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনার রোগী শনাক্তের হারও বেড়েছে। গতকাল এই হার ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ থাকলেও গত চব্বিশ ঘণ্টায় এই হার ১৪.৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে । এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এই মুহূর্তে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ৫১২ টি পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে মোট ১৩২টি পরীক্ষারে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়া ৩৩৪টি সরকারি ল্যাবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন এবং ৪৬টি পরীক্ষাগারে জিন এক্সপার্ট পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা চলছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২,৫৬৪ জন, এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৯টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৭জন মানুষের মধ্যে পুরুষ ৩২জন আর নারী ১৫জন।
মারা যাওয়া ষাটোর্ধ আছেন ২৯জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে আছেন আটজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে আছেন চারজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে আছেন পাঁচজন এবং ২১-৩০ বছরের মধ্যে আছেন একজন।
এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনজন এবং বাড়িতে মারা গেছেন দুইজন।
বিবিসি