কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়ায় কুমিল্লার কিশোর

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে খালি কন্টেইনার থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাত পুকুরিয়া এলাকায়। সে ওই এলাকার দিনমজুর ফারুকের ছেলে রাতুল (১৪)। শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাতুলের বাবা দিনমজুর ফারুক মিয়া এবং স্থানীয় এলাকাবাসী।

ফারুক মিয়া বলেন, টিভিতে রাতুলের ছবি দেখে আমরা তাকে সনাক্ত করি। মাস দুয়েক আগে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায় মানসিক ভারসাম্যহীন রাতুল। ভেবেছিলাম নিজে নিজেই ফিরে আসবে, তাই আর জিডি করিনি। সেদিন টিভিতে দেখে চিনতে পারি এটা আমাদের হারিয়ে যাওয়া রাতুল।

ফারুক মিয়া বলেন, তিন সন্তানের মধ্যে রাতুল সবার বড়। শিশুকাল থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন সে। কয়দিন পরপর এদিক সেদিক চলে যায়, আবার ফিরে আসে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আপনারা আমার ছেলেটাকে যেভাবে হোক ফিরিয়ে আনুন।

ইউপি সদস্য মো. শহিদুল্লাহ বলেন, টিভিতে রাতুলের ছবি দেখে তার বাবা ফারুক মিয়া আমার কাছে আসে। আমিও ভালো করে দেখে নিশ্চিত হই এটা ফারুকের ছেলে রাতুলই ছিল। আমরা রাতুলকে তার বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে এনে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান হাওলাদার বলেন, ছেলেটার ছবি পেয়ে আমি সাত পুকুরিয়া গ্রামের একজনকে পাঠালে তিনি সনাক্ত করেন। আমরা ছেলেটাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি শফিকুর রহমান বলেন, আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি এলাকায় গিয়ে তার পরিচয় সনাক্ত করেছি।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কন্টেইনারে আটকা পড়ে রাতুল। পরে ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে জাহাজের একটি খালি কন্টেইনারের ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পান নাবিকরা। এরপরই কেলাং বন্দরকে জানানো হয়।

পরদিন বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কন্টেইনার খুলে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে রাতুল মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর