কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে তাকে স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে তাঁর রূহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পাঠ করা হয়।

প্রশাসনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের পক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হাসান আজিজুল হকের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘কথাসাহিত্যে বাংলাদেশের একজন রাজপুত্র ছিলেন হাসান আজিজুল হক। তাঁর কথার মাধ্যমে, লেখা ও প্রকাশের মাধ্যমে অনন্য সৃষ্টি করে গেছেন তাঁর লেখার ধারণা ও চিন্তাচেতনার মাধ্যমে তিনি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেছেন তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। গর্বের বিষয় যে, হাসান আজিজুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, শিক্ষক ছিলেন এবং দুই বাংলার মাঝে একজন চিন্তক মানুষ হিসেবে নিজেকে স্থাপিত করেছেন তাঁর প্রয়াণে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘হাসান আজিজুল হক যেহেতু আমাদের গর্বের ধন। তাই আমরা তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামন শায়িত করেছি। যাতে যেকোনো সময় আমরা তাঁর কবরের পাশে এসে দাঁড়াতে পারি৷ আমরা তাঁর লেখা ও কর্ম থেকে অনুপ্রাণিত হই।’

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান প্রামাণিক (অব.), রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর হাসান আজিজুল হক ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে তিন দশক ধরে অধ্যাপনার পর ২০০৪ সালে অবসর নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানসূচক ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭০ সালে সাহিত্যে অবদানের জন্য তাকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে এবং ২০১৯ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।

জি/আর