সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে এখনও ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও সেই ফরম্যাটেও সাকিব খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। আর এর মধ্যেই সাকিবকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে আইসিসি।
বুধবার সবশেষ আইসিসির র্যাঙ্কিং হালনাগাদ প্রকাশের পর দেখা গেছে এমনটাই। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে কি ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দিয়েছেন সাকিব। নয়তো কেন সাকিবকে ওয়ানডে থেকেও সরিয়ে ফেলল আইসিসি। এ নিয়ে যখন ভক্তদের মধ্যে চলছে আলোচনা। তখন জানা গেল আসল কারণ।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার টানা ১২ মাস ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে না খেললে র্যাঙ্কিং থেকে তিনি বাদ পড়েন। আর টেস্টের ক্ষেত্রে টানা ১৫ মাস খেলার বাইরে থাকলে নাম কাটা পড়ে র্যাঙ্কিং থেকে। আর এই নিয়মেই বাদ পড়েছে সাকিবের নাম।
সাকিব সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন এক বছরের বেশি সময় আগে, ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর শ্রীলংকার বিপক্ষে। বিশ্বকাপের ওই ম্যাচের আর আর দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলননি সাকিব। সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না সাকিব। যে কারণেই ওয়ানডে থেকে সাকিবের নাম কেটে দিয়েছে আইসিসি।
জাতীয় দলের জার্সিতে একটি ওয়ানডে খেললেই অবশ্য তিনি আবার র্যাঙ্কিংয়ে ঢুকে পড়বেন। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সাকিব সেই সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কেননা, দেশের মাটিতে টেস্ট খেলতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত রোষানলে পুড়ে খেলা হয়নি সাকিবের। তাই কানপুরেই টেস্ট ক্রিকেটের বিদায় হয়েছে সাকিবের।
উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাকিব আইসিসির টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার-২০০৯ এবং একই বছর ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার এর জন্য মনোনয়ন পান। দ্য উইজডেন ক্রিকেটার্স সাকিবকে বছরের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত করে। ওই ২০০৯ সালে আইসিসির ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে আসেন সাকিব। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে এই তালিকার শীর্ষে থাকার রেকর্ডও গড়েন এই অলরাউন্ডার।
সূত্র: যুগান্তর