ওমিক্রন-বিরূপ আবহাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে মুদি দোকানে পণ্য সংকট চরমে

করোনাভাইরাস ও আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মুদি দোকানগুলোতে। সরবরাহ সংকটের ফলে দেশটির মুদি দোকান বা খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই পর্যাপ্ত পণ্য। ওমিক্রনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেক কর্মী। তাছাড়া বর্তমানে দেশটিতে শীতকালীন ঝড় শুরু হয়েছে।

এরই মধ্যে তুষারপাতে বিপর্যস্ত হয়েছে দেশটির অধিকাংশ রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির দোকানগুলোতে পণ্যের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে তা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

jagonews24

যুক্তরাষ্ট্রের সাত কোটি ৫০ লাখ মানুষের ওপর শীতকালীন ঝড় ও তীব্র শীতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দেশটির ৩৩টি রাজ্যে এই সতর্কতা কার্যকর থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে কমপক্ষে ১১টি আবহাওয়া সতর্কতা ও পরামর্শ কার্যকর রয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাংশে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। শনিবার এসব এলাকায় তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

করোনার নতুন ধরনে বিপর্যস্ত দেশটিতে হঠাৎ এমন বিরূপ আবহাওয়ায় ভেঙে পড়েছে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা। মুদি দোকানগুলোতে ঘাটতি দেখা গেছে মাংস, দুধ, জুস, স্যুপের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের।

কর্নেল ইউনিভার্সিটির ডাইসন স্কুল অব অ্যাপ্লাইড ইকোনমিক্সের খাদ্য বিপণনের অধ্যাপক মিগুয়েল গোমেজ বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রত্যেক বছরই ভোক্তারা খাদ্য মজুদ করে। তাছাড়া এ বছর সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দোকানগুলোতে অনেক পণ্যেরই সংকট দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।

jagonews24

সম্প্রতি সারাদেশ থেকে ভোক্তারা বিভিন্ন বড় বড় দোকানের ফাঁকা শেলফের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে হতাশা প্রকাশ করছেন।

মিয়া ডটারি নামের একজন টুইটার পোস্টে মেরিল্যান্ডের একটি দোকানের ফাঁকা শেলফের ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, শেলফগুলোতে নেই পর্যাপ্ত পণ্য। দোকানের কর্মীরা তাকে জানায় যে, সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় এমন সংকট দেখা দিয়েছে। এরপর তিনি অন্য একটি দোকানে গিয়েও একই অবস্থা দেখেন। দোকানগুলোতে একটা ডিমও নেই। নেই কোনো তাজা ফল বা রসুনও।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ