ওমিক্রন আতঙ্ক : স্কুল-কলেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

নতুন ভ্যারিয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকান ‘ওমিক্রন’-এ আতঙ্কের মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম যেভাবে চলছে সেভাবেই থাকবে বলে জনিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, স্কুল কলেজগুলো বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে আমরা সে অবস্থায়ই রাখতে বলেছি৷ সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মানে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওমিক্রন রোধে করণীয় নির্ধারণী সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাস্ক না পরলে যাতে জরিমানার আওতায় আসে সে জন্য মোবাইল কোর্টও চালাতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে ন্যাশনাল মনিটরিং সেল তৈরি করতে। এর মাধ্যমে জেলা, উপজেলায় খোঁজখবর রেখে তড়িৎ গতিতে সিদ্ধান্ত দেবে।

তিনি বলেন, যে রকম আশা করেছিলাম যে পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়নি, ৭-৮ লাখ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম আরো বেশি দেওয়ার জন্য। চেষ্টা করছি বাড়াতে। অনেক কেন্দ্র টিকা নিয়ে বসে আছে, সেখানে এলেই টিকা দেওয়া হবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ১০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪ কোটি ডাবল ও ৬ কোটি সিঙ্গেল ডোজ। স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সব পর্যায়ে টিকা নেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত টিকা দিচ্ছি। ফাইজারের টিকাও আমরা জেলা-উপজেলায় নিয়ে গেছি।

বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করতে প্রতিটি জেলায় চিঠি দিয়ে জানানো হবে। আর বিদেশ থেকে কেউ এলে তারা যাতে বাইরে কারও বাসায় না যেতে পারেন, সে বিষয়ে মনিটরিং করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ