ওমানে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সোশ্যাল ক্লাব

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘শাহিন’র প্রভাবে লণ্ডভণ্ড গোটা ওমান। দেশটিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির জনগোষ্ঠী। বিশেষ করে সাহাম, সোহার, বিদায়া, সুইক ও মোসেনা অঞ্চলগুলো সাক্ষী হয়েছে ভয়ংকর তাণ্ডবের।

শাহীনের প্রভাবে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন স্থানীয় ওমানীরাসহ অনেক প্রবাসী। ফলে বিদ্যুৎ গ্যাস পানিসহ মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে ওইসব এলাকার সাধারণ জনগোষ্ঠী। কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে জীবন ধারণ করছেন তারা। শাহীন তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা এসব  প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ওমান সরকার কতৃক স্বীকৃত বাংলাদেশীদের একমাত্র সামাজিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ওমান’।

গতকাল তারা গাড়ি ভর্তি করে শুকনো রুটি, মোমবাতি, চাল ডাল তেল মুড়ি  সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি তুলে দিয়েছেন  ওইসব এলাকার সাধারন জনগুষ্ঠীর হাতে। বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের এই মহৎ কর্মের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সঙ্গী হয়েছেন বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ ওমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

এসব অঞ্চলে ১২০-১৫০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া সাইক্লোন তাণ্ডব শেষ হয়েছে ক’দিন আগে। তবে ক্ষতচিহ্ন হার মানিয়েছে ওমানের প্রায় ৭০ বছরের ইতিহাসকেও। পূর্বে বন্যার পানিতে প্লাবিত হলেও এতো লাশ কিংবা নিখোঁজ হওয়ার মিছিলে যুক্ত হওয়ার নজির ছিলো না দেশটিতে।

এদিকে এই সংকট মোকাবেলায় ওমানের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সংস্থার পাশাপাশি কাজ করছে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সোশ্যাল ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক এম. এন. আমিন, যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহিম ও প্রকৌশলী শামসুল হক ও বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ ওমানের সভাপতি প্রকৌশলী আলী আশরাফ সহ আরো অনেকে।

বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত  এসব প্রবাসীদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগীতা  অব্যহত রাখবে বলে জানান। অন্যদিকে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ওমানের সাথে এ সংকট মোকাবেলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ ওমানের সভাপতি প্রকৌশলী আলী আশরাফ। ওমান প্রবাসীদের প্রত্যাশা খুব শিগগিরই সকল সংকট কেটে গিয়ে নতুন ভোরের দেখা মিলবে সহশাই।

প্রবাসী বাংলাদেশীদের এমন বেহাল অবস্থায় বাংলাদেশ  দূতাবাস মাস্কাটের ভূমিকায় খুশি হতে পারেনি ভুক্তভুগী প্রবাসীরা। তাদের অভিযোগ হাড়ভাঙ্গা খাটুনি আর নিজের সব সাধ আহ্লাদকে বিসর্জন দিয়ে প্রবাসে পরে থেকে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করলেও নিজেদের কঠিন মুহূর্তে কোনমতে জীবন বাঁচাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহয়তাটাও পায়নি তারা।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন