ওজন কমাতে লিচু

চলছে মধুমাস। আম, জামের পাশাপাশি লিচুর বাজারও রমরমা। লিচু খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টিগুণও রয়েছে। ভিটামিন সি ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিডে ভরপুর এই ফল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ৷ এছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধে লিচুর ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও লিচুর আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১. ফাইবারসমৃদ্ধ লিচু কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে উপকারী ৷  পরিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে লিচু।

২.  লিচু পূর্ণমাত্রায় অ্যান্টিভাইরাল ৷ এতে থাকা ‘লিচিট্যানিন এ টু’ উপাদান মানবদেহে ভাইরাসের বংশবিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে ৷

৩.  প্রচুর পরিমাণে তামা থাকায় লিচু রক্ত সংবহনে কার্যকরী ৷ লোহার মতো তামাও মানুষের দেহে লোহিত রক্তকণা তৈরিতে সাহায্য করে ৷

৪.ফ্লুইডের ভরসাম্য ঠিক রেখে লিচু মানবদেহে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ৷ সেইসঙ্গে  পটাশিয়াম বেশি এবং সোডিয়াম কম থাকায় লিচু রক্তচাপ নিয়্ন্ত্রণে রাখার জন্য কার্যকরী।

৫. লিচুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট  ত্বককে রাখে সতেজ ও টানটান ৷ ভিটামিন সি থাকায় ত্বকের বলিরেখা রোধ করে লিচু।

৬.লিচুতে পানির পরিমাণ অনেক ৷ অন্যদিকে ফ্যাট ও ক্যালরির মাত্রা নামমাত্র ৷ ফলে যারা ডায়েট করছেন, তাদদের জন্য লিচু আদর্শ ৷ সেক্ষেত্রে দৈনিক খাবারে ফলের তালিকায় লিচু রাখতে ভুলবেন না ৷

৭. ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপারের মতো খনিজপদার্থ থাকায় লিচু পেশি ও হাড়কে সুগঠিত করার ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয় ৷

এত গুণ থাকলেও একটা বিষয় মনে রাখতে হবে  লিচুতে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। এজন্য বেশি পরিমাণে লিচু খাওয়ার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিয়ে তারপর খেতে হবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ