‘ওই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে, নতুন করে হিসাব-নিকাশ’

যার ধর্মীয় বিশ্বাস আছে এবং যিনি দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন সে কখনোই অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা করতে পারে না। দেশে এত গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে, তার মাঝেও কুমিল্লার মন্দিরে কে বা কারা কোরআন শরিফ রেখেছে তা বের করতে হবে।

রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পল্লীবন্ধু শহিদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ ডিজাইন অনুযায়ী সম্পন্ন করেছেন। দেশের প্রতিটি প্রান্তে পল্লীবন্ধুর উন্নয়নের ছোঁয়া এখনো উজ্জল হয়ে আছে। আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে পল্লীবন্ধুর অবদান কখনোই অস্বীকার করতে পারবে না কেউ। এদেশের অনেকেরই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার নজির আছে। কিন্তু পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কোনো নির্বাচনেই পারাজিত হননি। কিন্তু এক প্রতিমন্ত্রী (তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান) পল্লীবন্ধু এবং রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে দেশের মানুষের ধিক্কার পাচ্ছে। ওই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে, আবার নতুন করে রাজনীতির হিসাব-নিকাশ শুরু হবে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (খুলনা বিভাগ) সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নাজনীন সুলতানা, মো. জহিরুল হক জহির, লে. কর্নেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু, শেখ মো. আলমগীর হোসেন, শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সুমন আশরাফ, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আহাদ চৌধুরী শাহীন, এসএম আল জুবায়ের, নড়াইল জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি রাশেদ মাজমাদার, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি নাফিজ আহমেদ খান টিটু, চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব হোসেন, বাগেরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজারা শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাতক্ষীরা জেলা সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, যশোর জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুফতি হাকিম ফিরোজ শাহ, মাগুরা জেলা আহ্বায়ক মোছা. সেলিনা খাতুন, এসএম মুশফিকুর রহমান, তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোড়ল জিয়াউর রহমান, ছাত্রনেতা অর্ণব চৌধুরী।

উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাখন সরকার, এমএ রাজ্জাক খান, তিতাস মোস্তফা, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, হাফিজ ক্বারী ইসাহারুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন, শাহরিয়ার জামিল জুয়েল, মাওলানা মো. খলিলুর রহমান সিদ্দিকী, জাফর আহমেদ রাজু, মো. হাবিবুর রহমান, হুমায়ুন কবীর শাওন প্রমুখ।

 

সূত্রঃ যুগান্তর