এমপি আয়েনের বিরুদ্ধে নির্যতানসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধের দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন, নিয়োগবাণিজ্য, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, এসব কারণে এবার নির্বাচনে আয়েন দলীয় মনোনয়ন পেলেও জামানত হারাবেন।

লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, এমপি আয়েন জামায়াত-শিবির, রাজাকারের সন্তানদের চাকরি দিয়েছেন, লোক দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধর, নির্যাতন ও মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এসব অভিযোগ আমরা কেন্দ্রে দিয়েছি।  বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর একটায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) এমপি আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে এমন তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মোহনপুর উপজেলা কৃষকলীগের মহিলা সম্পাদক শেখ হাবিবা, উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য শ্রী সুরঞ্জিত সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আলী, ঘাসিগ্রাম ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবজাল হোসেন বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আজাহার আলী, উপজেলা শ্রমিক লীগরে সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিলন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ঘাসিগ্রাম ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবজাল হোসেন বকুল ও মোহনপুর উপজেলা কৃষকলীগের মহিলা সম্পাদক শেখ হাবিবা।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়- গত ২৩ নভেম্বর মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য হাবিবা হামলার শিকার হন এমপি আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার কারণে। এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য শ্রী সুরঞ্জিত সরকারকে মারধর করা হয় এমপি আয়েন উদ্দিনের নির্দেশে ২০১৫ সালে। এমপি আয়েন উদ্দিন তুলসীক্ষেত্র নামক স্থানে শত শত কৃষকের ফসলী জমি রাতারাতি জবর দখল করে নিয়ে পুকুর খনন করেছে। আনন্দ উল্লাসের জন্য বাগানবাড়ি তৈরি করেছেন। মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের শুটকি বিল ও রায়ঘাটি ইউনয়নের হিনাবিল এমপি আয়েন উদ্দিন ও তার বড় ভাই বাবলু দখল করে মাছ চাষ করছেন।

এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে জামায়াত-বিএনপি পন্থীদের নিয়োগ দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করেছে। এমপি আয়েন উদ্দিন নির্বাচিত হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের ত্যাগী, যোগ্য ও নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক পদ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এমপি মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে হাইব্রিডদের বিভিন্ন পদে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমপি আয়েন উদ্দিন পরিবার ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। যা ৭১’এর মোহনপুর বইয়ের মাধ্যমে ও বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানতে পারা যায় এমপি আয়েন উদ্দিনের পিতা ও তার দুলাভাই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম এর পিতা একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার পিস কমিটির সদস্য ছিল, যাহা সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে।

এমপি আয়েন উদ্দিনের সাবেক পিএস বিজয় রাজাকারের সন্তান এবং বর্তমান এপিএস মিজানুর রহমান ২০০৮ সালের পূর্বে ছিলেন, বিএনপির ক্যাডার। এমপি আয়েন উদ্দিনের বড়ভাই আজহারুল ইসলাম বাবলু দুইবারের নৌকার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ২০০৮ এর পূর্বে কোন দিনও করেনি আওয়ামীলীগ। তার পিতা ছিল রাজাকার পিস কমিটির সদস্য।

এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, তারা আওয়ামী লীগের এখন আর কোন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে। এদের কাজই হলো আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করা। এদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, তারা আওয়ামী লীগের এখন আর কোন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে। এদের কাজই হলো আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করা। এদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে।

স/আর