এবার রোগীর স্বজনকে পেটালো রামেক হাসপাতালের আনসার সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এবার রোগীর স্বজনকে পেটালো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আনসার সদস্যরা। আজ শনিবার দুপুর দেড়টায় রামেক হাসপাতালের ১ নং গেটে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর নাম খায়রুল ইসলাম(৫০)। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেরার মহাদিধি এলাকার মৃত আহাম্মেদ আলীর ছেলে। মারধরের পরে তাকে  থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে  খায়রুল ইসলাম ডাব নিয়ে ৫ নং ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগি অহেদ আলির কাছে যাওয়ার সময় হাসপাতালের ১ নং গেটে ডিউটি রত আনসার সদস্যারা তাকে বাঁধা দেন। এসময়  আনসার মান্নানের সাথে তার তর্কবিতর্কের  একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আনছার সদস্য মান্নান খাইরুলকে বেধরক মারপিট শুরু করে। নিজেকে বাঁচাতে হাতাহাতির এক পর্যায়ে আানসার সদস্য আঃ মান্নানের গালে থাপ্পর লেগে কানে সামান্য আঘাত পেলেও তাকে ৩৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি দেখানো হয়।

এদিকে ঘটনার পর খাইরুল কে রামেক হাসপাতালের পরিচালকের  রুমে নিয়ে গিয়ে রাজপাড়া থানায় সোর্পদ করা হয়।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাঞ্ছিতের শিকার হয় রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক  মামুনুর রশীদ রিপন।

শারীরিক সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন তিনি। ভর্তির পর তিনি কোন চিকিৎসা পাননি। একজন নার্সকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এ কারণে শুক্রবার একজন চিকিৎসক ওয়ার্ডে গেলে তিনি তাকে জানান যে তারও একজন বন্ধু চিকিৎসক। আর এ কথা শুনেই ওই চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডেকে আনেন। ইন্টার্নরা ডাকেন আনসার সদস্যদের। তারা ওই শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন।

শিক্ষক রিপন জানান, আমি একজন রোগী। সেখানে আমাকেই যদি মারধর করা হয় তাহলে এটা কোন হাসপাতাল? এসব দেখার কী কেউ নেই? তিনি জানান, মারধরের পর উল্টো তার কাছ থেকেই মুচলেকা নেয়া হয়েছে। মুচলেকার কাগজে লেখা ছিল- রিপন চিকিৎসকদের সঙ্গে অশ্লীল ও অসাদাচরণ করেছেন। স্বাক্ষর করতে না চাইলে জোর করে মুচলেকার কাগজে তার টিপসই নেয়া হয়েছে।

এদিকে, প্রায় প্রতিনিয়তই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটছে এমন ঘটনা। লাঞ্চিত হচ্ছে রোগীর স্বজনেরা। এছড়াও ছাড় পাচ্ছে না রোগীরাও।

আরো পড়ুন …

রামেক হাসপাতালে এবার চিকিৎসকদের নির্দেশে আনসাররা পেটালো শিক্ষককে