এবার রাজশাহীর কামারপাড়ায় নেই উত্তাপ্ত

 নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যস্ততা নেই কামার পাড়ায়। টুং-টাং শব্দ তেমন নেই কামাড় বাড়িতে। করোনাভাইরাসের কারণে কাজে গতি নেই। তাই অনেকটাই অসল সময় কাটাচ্ছেন কামাররা। যদিও ইদের সপ্তাহ খানেক আছে দম ফেলার সময় থাকে না কামারদের। কিন্ত এবছর কাজ-কর্ম নেই বললে চলে। তারা বলছেন, করোনার কারণে মানুষ অভাবে আছে।

তাই অনেকে পুরানো হাতিয়ার দিয়ে কোরবানি দেয়ার কথা ভাবছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) কাটাখালী হাটে গিয়ে দেখা যায়, কামাররা কাজ করছেন। তবে তাদের মধ্যে কর্ম-ব্যস্ততা কম। বেশির ভাগ কামারকে পুরানো কাজ করতে দেখা গেছে। তারা পুরানো হাসুয়া, বটি, ছুরি ধার করচ্ছেন। এছাড়া চাপাতিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করছেন।

শামসুজ্জামান জানায়, তিনি একটু ছোট পশুর চামড়া কাটা ছুরি কিনেছেন ৭০ টাকা। এছাড়া হাসুয়া পুড়ানো ৫০ টাকা নিয়েছেন তার থেকে। কয়েকজন কামারের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্প্রিং লোহা (পাকা লোহা) ও কাঁচা লোহা, সাধারণত এ দুই ধরনের লোহা ব্যবহার করে এসব উপকরণ তৈরি করা হয়। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দামটা একটু বেশি।

আর কাঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম। ব্যবহার করা হয় এ্যাঙ্গেল, রড, স্টিং, রেল লাইনের লোহা, গাড়ির পাত ইত্যাদি। রবিউল কামাড় জানান, এ শিল্পের প্রধান উপকরণ লোহা, ইস্পাত ও কয়লা। তবে কয়লার দাম বেড়েছে।

ঠিকঠাক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। কিন্তু করোনার কারণে তেমন গ্রহক না থাকায় তেমন সমস্যা হচ্ছে না। কামারা জানান, বছরের ১১ মাসে তাদের ব্যবসা হয় এক রকম, আর কোরবানির ইদের আগের এক মাসে ব্যবসা আরেক রকম। কিন্ত এবছর ব্যবসা ভালো না।

স/আ.মি