এবার নদী কে নিয়ে গাইলেন উদীয়নাম কন্ঠ শিল্পী এমদাদুল হক

মোবারক,গাঙ্গোপাড়া প্রতিনিধি:

প্রবাহমান নদীর ভাবের উপর নির্ভর করে যাদের জীবনযাত্রা চলে, সেসব মানুষের কথা চিন্তা করে ইমদাদুল হক তার কথা ও সুরে এবং তার সহপাঠী ভারতীয় শিল্পীরা এতে যোগান দিয়ে মনোমুগ্ধকর একটি পরিবেশনা নিয়ে এসেছেন। যা ইতিমধ্যে
এপার বাংলা ওপার বাংলার মানুষের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে।

বাংলাদেশের শিল্পী ইমদাদুল হকের কণ্ঠে ভারতীয় শিল্পীদের তবলা, বেনজু আর বাঁশীর সুর যেমন শ্রুতিমধুর করেছে তেমনি মাশুক সিদ্দিক, মনীষা ও শিশু শিল্পী আবিরের অভিনয়ে ফুটে উঠেছে পরিপূর্ণ চিত্রায়ন।এই গানটি যারা একবার দেখছেন তারা
নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন শিল্পীর গায়কীতে।

কখনো গানের কথায়,কখনো গানের সুরে,কখনো আবার অভিনেতাদের অভিনয়ে, নিজের অজান্তেই সবাই অশ্রুসিক্ত। ইমদাদুল হক রাজশাহী বিভাগের বগুড়া সদর উপজেলার দোগাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ আকন্দের ছেলে। এর আগেও বন্ধুদিবসকে নিয়ে তাঁর গাওয়া গান “এপার থনে ওপার গেলা” শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।

ইমদাদুল হক জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীতে অনার্স এবং লোকসংগীতে মাষ্টার্স শেষ করে ২০১৮ সালে আই,সি, সি,আর স্কলারশিপ পেয়ে ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক সংগীতে ডাবল মাষ্টার্স শেষ
করেন।তিনি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৫ সালে  লোকসংগীতে চ্যাম্পিয়ন এবং ২০১৭ সালে ভক্তিমূলক গানে ২য় স্থান অর্জন সহ দেশবিদেশের অসংখ্য প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।

সংগীত নিয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সংগীতকে ভালোবেসে এই বিশ্বজগতে এসেছি।ছোটবেলা থেকেই শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন ছিল।এখন মনে হয়,আমার সংগীত সাধনায় দেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত না হলে তাতে স্বার্থকতা কোথায়? তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সংঙ্গীত নিয়ে কিছু গবেষণামূলক কাজ হাতে নিয়েছি।

স/রি