এবার ইউক্রেন দূতাবাস কর্মকর্তাদের দেশ ছাড়তে বলল যুক্তরাজ্য

ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের উত্তেজনা বিরাজ করছে। মস্কো যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভ দূতাবাস থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যসহ দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। এবার সেই কাতারে যুক্ত হলো যুক্তরাজ্য।

স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে কিয়েভ দূতাবাস থেকে কিছু কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও বিবৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য দূতাবাস খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে বলেছেন, ব্রিটিশ কূটনীতিকদের ওপর বিশেষ কোনো হুমকি নেই। তা সত্ত্বেও কিয়েভে কর্মরত অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশে ফিরবেন।

ইউক্রেন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য দূতাবাস কর্মকর্তাদের তুলে নিলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে ভিন্ন কথা। ইইউ বৈদেশিক নীতি (ফরেন পলিসি) বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, কিয়েভে ইইউ দূতাবাসের কর্মকর্তারা যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। উত্তেজনাকে তিনি নাটকীয় রূপ দিতে চান না।

বেশ কিছু দিন ধরে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ করেছে ক্রেমলিন। যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনসহ পশ্চিমা বিশ্বের আশঙ্কা, ইউক্রেনে হামলা চালাতেই রাশিয়ার এই প্রস্তুতি। যদিও মস্কো ওই সেনা সমাবেশকে রুটিন কাজের অংশ বলে দাবি করে আসছে।

ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা কমাতে গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ওই বৈঠকের পর দেশ দুটি জানায়, তারা ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

তবে ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রশ্নে ব্লিঙ্কেন সতর্কবার্তাও উচ্চারণ করেছেন। ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো সমন্বিতভাবে পাল্টা আক্রমণ চালাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

অন্যদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ব্লিঙ্কেনকে তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত যেসব দাবি মস্কো জানিয়েছে, ওয়াশিংটন যদি তা উপেক্ষা করে, তবে চড়া মূল্য দিতে হবে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর