এবার আদালতে আবেদন জানালেন জ্যাকুলিন

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

পেশাগত কাজে দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে তিন দিনের জন্য যাওয়ার অনুমতি চেয়ে দিল্লির কোর্টে আবেদন দায়ের করেছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। অর্থ আত্মসাতের মামলার অভিযুক্ত বলিউডের এই অভিনেত্রী। জামিনে আছেন তিনি, তবে দেশ ছাড়ার অনুমতি নেই তার। গত মাসে অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন, তবে আদালত তার আবেদন গ্রহণ করেননি।

এক মাস পর ফের কোর্টের কছে আর্জি জানালেন দুবাই যাওয়ার। ২৭-৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে দুবাই যেতে চান তিনি।

জ্যাকুলিনের এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিতে সময় চেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী ২৭ জানুয়ারি এ মামলার শুনানি হবে কোর্টে। গত ২৯ ডিসেম্বর নিজের বিদেশযাত্রার পূর্ববর্তী আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন জ্যাকুলিন। সেই সময় আদালতে অভিযুক্ত নায়িকাকে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল। মামলা ‘সংবেদশীল’ পর্যায়ে থাকায় সম্ভব হলে জ্যাকুলিনের উচিত বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা ত্যাগ করা। আদালতের সেই মৌখিক নির্দেশ মেনে নেন এই অভিনেত্রী।

ইডি শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে, ‘ঠগবাজ’ সুকেশের অতীত ও পেশা সম্পর্কে সবটা জেনেও শুধু নিজের স্বার্থসিদ্ধির সঙ্গে জেলবন্দি কনম্যানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন জ্যাকুলিন। তবে আদালতে সেটি অস্বীকার করেছেন তিনি। গত সপ্তাহে জ্যাকুলিন আদালতকে জানান, ‘আমার আবেগ নিয়ে খেলেছে এবং আমার জীবনকে নরক বানিয়েছে সুকেশ চন্দ্র শেখর।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুকেশ আমাকে বিভ্রান্ত করেছে, আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করেছে’।

গতবার জ্যাকুলিনের বিদেশযাত্রার আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি জানিয়েছিল, জ্যাকুলিন বিদেশি নাগরিক। একবার দেশ ছাড়লে তাকে ফেরানো কঠিন হতে পারে। জন্মসূত্রে জ্যাকুলিনের বাবা-মা শ্রীলংকান। তবে জ্যাকুলিনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাহরাইনে। অর্থ আত্মসাত মামলায় গত ১৫ নভেম্বর আগাম জামিন মঞ্জুর হয় জ্যাকুলিনের।

গত বছর অগস্টে এ মামলায় অভিযুক্ত তালিকায় জ্যাকুলিনের নাম যোগ করে ইডি। এ মামলায় এখনো পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ মামলায় চন্দ্রশেখর এবং তার স্ত্রী তথা অভিনেত্রী লীনা মারিয়া পালকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তার আগে পর্যন্ত নাকি সুকেশের আসল পরিচয়ই জানতেন না জ্যাকুলিন। ২০২১ সালের আগস্টের পর সুকেশের সঙ্গে আর যোগাযাগ হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী।

সূত্র: যুগান্তর