মঙ্গলবার , ১৩ অক্টোবর ২০২০ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

এনআইডি জালিয়াতি প্রশ্নে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন ডিজি

Paris
অক্টোবর ১৩, ২০২০ ১১:৩৯ অপরাহ্ণ

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, জন্মসনদ, জনপ্রতিনিধিদের সনদসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে নাগরিককে ভোটার তালিকায় নিবন্ধন হতে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের সনদ সঠিক থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব।

 

এনআইডি জালিয়াতি বন্ধে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র পর্যন্ত আসার আগেই যেসব জায়গায় জালিয়াতি হচ্ছে, সেগুলোও তো রোধ করতে হবে। মূল শেকড় যদি উঠাতে না পারি, তাহলে এ জালিয়াতি ঠেকানো অত্যন্ত কঠিন। মূল শেকড়টা কারা সেটা তো আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন।

তিনি বলেন, প্রথম প্রশ্ন জন্মনিবন্ধন কে দিচ্ছেন? নাগরিকত্ব সনদ কে দিচ্ছেন? যদি জন্মনিবন্ধন সঠিক পাই, যদি নাগরিকত্ব সঠিক পাই, যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা সঠিক পাই, যদি ওয়ারিশান সনদ সঠিক পাই- তাহলে ভোটার না করে উপায় কী? শুধু নির্বাচন কমিশন ও এনআইডি উইংয়ের একার পক্ষে এ ধরনের দুর্নীতি রোধ করা অত্যন্ত কঠিন।

গত বছর ২ লাখ ৭ হাজার ৬৩৫ ব্যক্তি দ্বৈত ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘১১ কোটি লোকের সার্ভার এটা। আমরা গতবার যখন হালনাগাদ পরিচালনা করি, তখন কিন্তু আমরাই বের করেছি ২ লাখ ৭ হাজার ৬৩৫ ব্যক্তি যারা দ্বৈত ভোটার হতে তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা করেছিলেন। সুতরাং আমরা যে পারছি না, তা নয়। তবে একটি জিনিসকে ম্যাচিউরড পর্যায়ে আনতে সময় ও রিসোর্স প্রয়োজন।’

জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছি। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, চাকরিচ্যুতির পর অনেকে একটি চক্র তৈরি করছে। চক্রের মাধ্যমে তারা অনিয়ম-দুর্নীতির চেষ্টা, অপচেষ্টা বা দুর্নীতি চালাচ্ছে। এ কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। ইতোমধ্যে এক মামলায় লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলা ও সদর উপজেলার দু’জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - জাতীয়