এখনই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান!

করোনাভাইরাসের কারণে, না হয় এই সময়ে চলতো অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জোর প্রস্তুতি। আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হওয়ার কথা ছিল এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে একটি বছর। আগামী বছর একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

মোট কথা, এক বছরেরও বেশি সময় বাকি পরের বিশ্বকাপের। কিন্তু সেই বিশ্বকাপের জন্য এখনই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান! দেশটির প্রধান কোচ মিসবাহ-উল হকের বক্তব্যে সেটাই বোঝা গেলো। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকেই আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছে পাকিস্তান। যাতে বিশ্বকাপের সময় এসে একেবারে পারফেক্ট ১৫জন খেলোয়াড়কে বাছাই করে নেয়া যায়।

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মাটিতে। অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত- দুই দেশ আয়োজক হওয়ার সময়টা একে অপরের সঙ্গে পাল্টে নিয়েছে। যার ফলে অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক এবং ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক হচ্ছে ভারত।

পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিসবাহ-উল হক একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের টিম ম্যানেজমেন্ট আগামী বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনায় রেখেছে সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও। যেমন ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদ এবং শোয়েব মালিক। তাদেরকে এখনই বাতিলের খাতায় রাখা হচ্ছে না।

সাবেক টেস্ট অধিনায়ক সোমবার লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করছেন পাকিস্তানের সীমিত ওভারের অধিনায়ক বাবর আজমকে পূর্ণ স্বাধীনতা এবং ক্ষমতাবান করে দেয়ার। তিনি মনে করেন, তরুণ এই অধিনায়ক এবং ব্যাটসম্যানের ওপর সব সময় টিম ম্যানেজমেন্ট প্রভাব বিস্তার করবে। মাঠের সিদ্ধান্ত একার হবে শুধুমাত্র বাবর আজমেরই।

মিসবাহ বলেন, ‘বাবর খুবই পাওয়ারফুল এবং সে নিজেই সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্যতা রাখে। আমাদের কোনোভাবেই উচিৎ হবে না তার ওপর প্রভাব বিস্তার করার। আমরা চেষ্টা করছি তাকে পুরো ক্ষমতা দেয়ার।’

নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই মিসবাহ ব্যাখ্যা করেন, একজন অধিনায়কের স্বাধীনতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমি অধিনায়কত্ব করাকালীন এর গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলাম। একজন অধিনায়ককে সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেয়াটা দলের জন্য মঙ্গলজনক। কোনো অধিনায়ক নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে সেখান থেকে সে শিখতে পারে। এটা ভুলে গেলে চলবে না, যে কোনো অধিনায়ক যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করতে পারেন।’

ইংল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মিসবাহ জানান, সফরকালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে না পারার কারণে কিছুটা হলেও চিন্তিত। তবে সিরিজ থেকে কিছু পজিটিভ দিক প্রতীয়মান হয়েছে তার কাছে।

মিসবাহ বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ওটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সফর। একই সঙ্গে ক্রিকেট বিশ্ব এবং ইংল্যান্ডের জন্যও সিরিজটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যদি মূল বিষয়টা তুলে আনা হয়, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য চিন্তার বিষয় যে, সফরকালে দল এবং কোচ হিসেবে কোনোই সাফল্য নেই আমাদের।’ মিসবাহ একই সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেন, নিয়মিত খারাপ আবহাওয়া টেস্ট সিরিজে বেশ খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের জন্য।