এক সঙ্গে ১৬০০ শিশুর সুন্নাতে খতনা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে টার্কিশ ফুড মেলায় এক হাজার ৬ শ শিশুর বিনামূল্যে সুন্নাতে খতনা করানো হয়েছে। পৌরসভার নরিমপুর এলাকায় স্মার্ট একাডেমিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিনা রক্তপাত ও ব্যাথামুক্ত পদ্ধতিতে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) শিশুদের সুন্নাতে খতনা করা হয়। শনিবারও এ চিকিৎসাসেবা চলবে বলে জানা গেছে।

এ দিকে মেলায় মুখরোচক টার্কিশ খাবার খেতে ভিড় করছেন অনেকেই। পাঁচটি স্টলে টার্কিশ পিজ্জা, বার্গার, বিরিয়ানি, কফি, বাকলাভা, লুকোমসহ মুখরোচক ২০ ধরণের খাবারের পসরা সাজানো হয়েছে। গ্রামীণ পরিবেশে বিদেশি খাবারগুলোর সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন আগতরা।

আয়োজকরা জানান, জনকল্যাণমূলক সংস্থা স্মার্ট ফাউন্ডেশন ও তুরস্কের ইন্ট্যারন্যাশনাল ফ্র্যাটার্নিটি অ্যাসোসিয়েশন (ইফা) চারদিন ব্যাপী টার্কিশ ফুড মেলা ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেন। গত বুধবার টার্কিশ ফুড মেলা শুরু হয়। রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ সময় স্মার্ট ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের হিসার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হাসপাতালের ১০ জন চিকিৎসক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিনা রক্তপাত ও ব্যাথামুক্ত পদ্ধতিতে সুন্নাতে খতনা করেন।

স্মার্ট ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন দ্বিতীয় বার এ আয়োজন করেছি। শুক্রবার পর্যন্ত এক হাজার ৬ শ শিশুকে বিনামূল্যে সুন্নাতে খতনা করা হয়েছে। মোট দুই হাজার ৩ শ শিশুকে এ চিকিৎসা দেওয়া হবে। আমরা আগামিতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি আমার ক্যারিয়ার উন্নয়ন নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন থাকতাম এবং ক্যারিয়ারের উন্নয়নের জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা ভাবতাম। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক তার জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে, কারণ এটি আইটি সেক্টরে আগ্রহী অনেক যুবকের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ‘টেক রাজশাহী’ মোবাইল গেমস ও অন্যান্য সফটওয়্যার সংক্রান্ত সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে।”

সংস্থার প্রধান নির্বাহী মাহফুজুর রহমান জানান, তাদের ১৪২ জন কর্মী রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ২৮ জন হাইটেক পার্কে কাজ করছেন। পার্কের অবস্থানের পাশাপাশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধার জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়িয়ে দিয়েছে।

‘এমডি ইনফো’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল মোর্শেদ জানান, তারা জয় সিলিকন টাওয়ার এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন ভবনে জায়গা পেয়েছেন। তাদের প্রায় এক হাজার কর্মী রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১৫০ জন অফিসে কাজ করছেন, কারণ পঁচানব্বই শতাংশ কর্মী রাজশাহীর বাসিন্দা।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিতের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রায় ৩৩৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর তীরে রাজশাহী মহানগর সংলগ্ন নবীনগর এলাকায় প্রায় ৩১ একর জমির ওপর পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে।

অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে- ভূমি উন্নয়ন, ২ লাখ ৭০ হাজার বর্গফুট আয়তনের একটি দশ তলা সিলিকন টাওয়ার, একটি সাবস্টেশন ভবন, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও ড্রেন, সীমানা প্রাচীর এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট।

৬২ হাজার বর্গফুটের আইটি ইনকিউবেশন সেন্টারে একটি অত্যাধুনিক অফিস ভবনসহ বহুমুখী প্রশিক্ষণ সুবিধা, উচ্চ-মানের স্টার্ট আপ, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের ব্যবস্থা রয়েছে।

এদিকে, গত ১৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে ১৭২ আসনের স্টার সিনেফ্লেক্স চালু হয়েছে। সিনেমা দেখানোর পাশাপাশি, সিনেপ্লেক্সটি সংশ্লিষ্ট সংস্থার দ্বারা প্রকল্প প্রশিক্ষণ এবং অডিও-ভিজ্যুয়ালের জন্য ব্যবহার করা হবে। প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, ‘সিনেপ্লেক্সে একটি অডিটোরিয়ামের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। সিলিকন টাওয়ারে দুটি বেজমেন্ট পার্কিং ফ্লোর, উচ্চমানের প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কনফারেন্স রুম, ভাড়া দেওয়ার জন্য অফিস স্পেস, একটি লাউঞ্জ ও বিনোদন এরিয়াসহ বহুমুখী সুবিধা থাকবে। এখানে দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য সব ধরনের ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।’

সামগ্রিকভাবে পার্কটি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি রাজশাহীতে একটি জ্ঞানভিত্তিক আইটি শিল্প প্রতিষ্ঠায় প্রভূত অবদান রাখবে।

বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি নতুন তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে এটি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।।

সূত্র: কালের কণ্ঠ