এক মিনিটও দুর্নীতির সঙ্গে থাকতে চাই না : স্বাস্থ্য সচিব

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, প্রতিদিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করছি আমরা। করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট তৈরির ঘটনায় ডা. সাবরিনাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যের ডিজির কাছে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু ঢাকায় নয়, নারায়ণগঞ্জেও যদি এমন কোনো অনিয়মের তথ্য থাকে আমাদের জানান। মিডিয়াই আমাদের ভরসা। দুর্নীতির কোনো জায়গায় ছাড় দিতে চাচ্ছি না। একদিন, এক ঘণ্টা, এক মিনিটও দুর্নীতির সঙ্গে থাকতে চাই না আমি।

সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আমাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা বসে থাকব না। সবচেয়ে বড় কথা সত্য যেন বের হয়ে আসে। আমরা সত্যের সঙ্গে থাকতে চাই। যারা অপরাধ করবে তারা আইনের আওতায় আসবে। আমাদের অনেক সময় তথ্য-উপাত্ত পেতে অনেক দেরি হয়, সেটি আপনাদের কাছে থাকলে আমাদের জানাবেন।

আব্দুল মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেছেন এদেশে দুর্নীতির কোনো স্থান নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনও এসব নিয়ে কাজ করছে। আমি নির্ভয়ে বলতে চাই, যারা অপরাধ করবে তারা যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন বা যে ব্যক্তিই হোক না কেন দেখার বিষয় না, আমরা অপরাধ দেখে প্রতিষ্ঠান একেবারে সিলগালা করে দেব।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ করোনার শুরু থেকে হটস্পটে পরিণত হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ এখন একটা পর্যায়ে এসেছে। এখানে যারা স্বাস্থ্যসেবা ও করোনা নিয়ে কাজ করছেন তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে আজ এখানে এসেছি। ডাক্তাররা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা; তাই তাদের কাছে এসেছি তাদের কথা শুনতে। এতে তাদের মনোবল ফিরে আসবে। তাদের ডেকে ঢাকায় নিয়ে কথা বলার চাইতে তাদের কাছে এসে আমি কথা শুনবো বলেই এখানে আসা। তাদের কাছ থেকেই আমি জানব সমস্যা কোথায়, যাতে মানুষ সেবা পায় এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করা যায়।

তিনি বলেন, কোনো হাসপাতাল যদি নিয়মের বাইরে গিয়ে টেস্ট করায় কিংবা বেশি টাকা আদায় করে সেটি স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নেব। একেবারে সিলগালা করে দেব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, খানপুর করোনা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভা ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।