এক ওভারেই ১৭ রান নিলেন মুশফিক

১৮ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। শুরুর ধকলে রানের চাকা স্লোথ হয়ে যায় টাইগারদের। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ টেস্টের আদলে খেলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

৩.৩ ওভারে ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। এরপর উইকেট পতন এড়াতে ধরে খেলেন সাকিব-মুশফিক। আস্কিং রান রেট বেড়ে যাওয়ায় ৯ম ওভারে মাইকেল লাক্সিকে তুলোধুনো করে ছাড়েন মুশফিক। ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মুশফিক। দ্বিতীয় বলে আরেক সিঙ্গেল নেন সাকিব। পরের চার বলে দুই ছক্ক আর দুই ডাবল মিলে ওই ওভারে ১৮ রান আদায় করে নেন মুশফিক-সাকিব।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৮ রানেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। ৫ বলে মাত্র ৫ রান করার সুযোগ পান এ ওপেনার। সৌম্যর মতো একই হাল লিটনের। তিনিও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪১ রান তাড়া করে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে বাংলাদেশ দল।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে এক উইকেটে ৪৫ রান করা স্কটল্যান্ড এরপর মেহিদ হাসান ও সাকিব আল হাসানের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে হারায় ৫ উইকেট।

৫৩ রানে ৬ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন ক্রিস গ্রেভস। ইনিংস শেষ হওয়ার চার বল আগে মোস্তাফিজের শিকার হওয়ার আগে ২৮ বলে চারটি বাউন্ডারি আর দুটি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন গ্রেভস। ইনিংসের শেষ দিকে তার ব্যাটিং ঝড়েই ১৪০/৯ রান তুলতে সক্ষম হয় স্কটল্যান্ড।

রোববার ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে স্কটল্যান্ড।

ইনিংসের শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করে স্কটিশরা। দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অধিনায়ক কাইল কোয়েতজার।

এরপর ম্যাথু ক্রসকে সঙ্গে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার জর্জ মানসি। এক উইকেটে ৪৫ রান করার পর স্কটল্যান্ড শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান।

অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসেই দ্বিতীয় বলে স্কটল্যান্ডের হয়ে তিনে ব্যাটিংয়ে নামা ম্যাথু ক্রসকে এলবিডব্লিউ করেন মেহেদি। ওই ওভারের পঞ্চম বলে জর্জ মানসেকে বোল্ড করেন তিনি। মেহেদির শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ২৩ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ২৯ রান করেন মানসে।

এরপর স্কটল্যান্ড শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে তরুণ ক্রিকেটার আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন রিচি বিরিংটন। এই রিচির সেঞ্চুরিময় ইনিংসের কারণেই ২০১২ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ।

১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রিচিকে ফেরানোর পর চতুর্থ বলে সাকিব ফেরান মাইকেল লিক্সকে। রিচি বিরিংটনের মতো লিক্সও ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন।

ইনিংসের ১২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেট শিকার করেন মেহেদি। তার তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ক্যালাম ম্যাকলিওড। চার ওভারে মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন মেহেদি।

১৮তম ওভারের প্রথম বলে মার্ক ওয়েটকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর দুই বলে ক্রিস গ্রেভস ও জোশ ডেভিকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ভাগ্য ফেবার করেনি।

স্কটল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৪০/৯ (ক্রিস গ্রেভস ৪৫, জর্জ মানসে ২৯, মার্ক ওয়েট ২২, ম্যাথু ক্রস ১১; মেহেদি হাসান ৩/১৯, সাকিব ২/১৭, মোস্তাফিজ ২/৩২)।

 

সূত্রঃ যুগান্তর