একমাস ধরে চারবার পরীক্ষার পর শনাক্ত হলো করোনা

গত একমাসে ঢাকা ও খুলনায় চারবার নমুনা পরীক্ষার পর এক নারীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। টানা তিনবার ওই নারীর শরীরে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও চতুর্থবার পজিটিভ আসে। বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ঘোষণার পর ওই নারীর বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

ওই নারী (৩৫) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের তিলকুড়া গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।

দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিপ্লব মন্ডল জানান, একমাস আগে ওই নারী গাজীপুরে ছিলেন। সেখানে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। সে সময় ঢাকাতে নমুনা পরীক্ষা করান তিনি। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর তিনি গাজীপুর থেকে দেবহাটার তিলকুড়া গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরেন। ১০ মে তারিখে তার নমুনা সংগ্রহ করে দ্বিতীয় বারের মতো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। তখনও ফলাফল নেগেটিভ আসে।

তিনি বলেন, এদিকে ওই নারীর শরীরে উপসর্গ বাড়তে থাকায় ১৩ মে নমুনা সংগ্রহ করে আবারো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১৮ মে পুনরায় ফলাফলে জানানো হয় রিপোর্ট নেগেটিভ। পরবর্তীতে ওই নারীর নমুনা পাঠানো হয় আইইডিসিআরে। সেখান থেকে পাওয়া রিপোর্টে আজ (বুধবার) বিকেলে জানানো হয়েছে ওই নারীর শরীরে করোনা পজিটিভ।

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিন বলেন, ওই নারীর বাড়িসহ আশপাশের দশটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

এছাড়া সাতক্ষীরা সদরে আরও এক নারীর করোনা রিপোর্ট খুলনায় নেগেটিভ ও আইইডিসিআরে পজিটিভ এসেছে। কলারোয়া উপজেলায় দুইজন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, সদরের বল্লীতে কলেজছাত্রের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় ৯ দিন আগে। ওই ছাত্রের মায়ের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় খুলনায়। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেই নমুনা পাঠানো হয় আইইডিসিআরে। সেখানে তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়ত জানান, আজ (বুধবার) পাওয়া রিপোর্টে নতুন করে চারজন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেবহাটা ও সাতক্ষীরা সদরের দুই নারীর খুলনায় রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও আইইডিসিআরে পজিটিভ এসেছে। এছাড়া কলারোয়া উপজেলাতে দুইজন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় মোট করোনা রোগী ৪২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন জন। বাকিরা আসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সকলের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

সূত্রঃ জাগো নিউজ