একজন ২০২০, অন্যজন ২১! এ মৃত্যু মানতে কষ্ট হচ্ছে সহপাঠীদের

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ হতে যাত্রা শুরু হওয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট (আইএসএলএম) বিভাগের  প্রথম ব্যাচের মোট শিক্ষার্থী ছিল ৪৪ জন। গেল বছরের আগস্টে অকেজো কিডনির ওপর করোনাভাইরাসের থাবায় মারা যান বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফ উদ্দিন। ৪৪ থেকে কমে তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৩ জনে। বছর পেরুতেই গত মঙ্গলবার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বিভাগটির একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী অজয় মজুমদার। অজয়ের মৃত্যুতে ৪৩ থেকে আরো ১ কমে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪২ জনে।

৪৪ থেকে কমে ৪২! এক বছরের ব্যবধানে দুই সহপাঠীকে হারানোর শোকে যেন অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন বিভাগটির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অজয়-সাইফের স্মৃতিচারণ করে প্রতিনিয়ত দুঃখ প্রকাশ করছেন তারা। তাদের ফেসবুক টাইমলাইন জুড়ে একের পর এক স্মৃতিকাতর পোস্ট।

অজয়-সাইফের সঙ্গে তোলা সম্মিলিত ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে আহসান হাবিব নামের বিভাগটির আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, কিভাবে বলে বুঝাব এই ছবিটা আর কখনো পূর্ণতা পাবে না। আইএসএলএম ফার্স্ট ব্যাচের একে একে নক্ষত্রের পতন।

আজিজুল হক মধু নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, একই ডিপার্টমেন্টের সূবর্ণরত্ন আমার দুই বন্ধুর বিদায়। আমাকে নেতা নেতা বলে অনেক বিরক্ত করতো এবং অনেক ভালোবাসতো যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। কত স্মৃতি কত কথা! ওপারে ভালো থাকিস তোরা।

অনন্য মামুন নামের বিভাগটির প্রথম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেন, একই বিভাগের একই ব্যাচের দুইজন সহপাঠীকে হারালাম। একজন ২০২০ আরেকজন ২০২১। সাইফ চলে যেতে না যেতেই অজয় তোকেও হারিয়ে ফেললাম!

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ