একজন ‘পূর্ণাঙ্গ’ হাসান আজিজুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি লেখক সবাইকে কাঁদিয়ে অবশেষে না ফেরার দেশেই চলে গেলেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অদূরে বিশ্ববিদালয় হাউজিং সোসাইটিতে (বিহাস) নিজ বাসভবন ‘উজান’- এ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দেশের বরেণ্য এই লেখক চলে গেলেন কিন্তু তিনি তার বর্ণাঢ্য ৮২ বছরের জীবনে দেশ তথা উপমহাদেশের জন্য অনেক কিছুই রেখে গেলেন। প্রথিতযশা এই শিক্ষাবিদের কর্মময় জীবনের কিয়তাংশ সিল্কসিটি নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

একজন হাসান আজিজুল হক:

হাসান আজিজুল হক (২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ – ১৫ নভেম্বর ২০২১) একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কথাসাহিত্যক হিসেবে পরিগণিত। ষাটের দশকে আবির্ভূত এই কথাসাহিত্যিক তার সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ। জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তার গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ। রাঢ়বঙ্গ তার অনেক গল্পের পটভূমি। আগুনপাখি (২০০৬) হক রচিত প্রথম উপন্যাস। তিনি ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদকে ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। এই অসামান্য গদ্যশিল্পী তার সার্বজৈবনিক সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে “সাহিত্যরত্ন” উপাধি লাভ করেন।

জন্ম ও শিক্ষা:

হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত এবং একান্নবর্তী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ দোয়া বখশ্‌ এবং মাতা জোহরা খাতুন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। তিনি ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যবগ্রাম মহারানী কাশীশ্বরী উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে খুলনার শহরের অদূরে দৌলতপুরের ব্রজলাল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। প্রথম যৌবনেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাজনীতি করার কারণেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে চরম নির্যাতন ভোগ করেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী সরকারি কলেজে থেকে দর্শন-এ সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি পিএইচডি অধ্যয়নের জন্য অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন, কিন্তু বিদেশের পরিবেশ ভালো না-লাগায় অধ্যয়ন শেষ না-করেই দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

কর্মজীবন:

১৯৬০ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত তিনি রাজশাহী সিটি কলেজ, সিরাজগঞ্জ কলেজ, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি ব্রজলাল কলেজ অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৭৩ -এ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন।[৪] ২০০৯-এ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদের জন্য মনোনীত হন এবং দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ এর আগস্ট এ তিনি বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ এর সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিজস্ব বাসভবন ‘উজান’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে ‘বিহাস’-এ।
সাহিত্য জীবন

রাজশাহী কলেজে পড়ার সময় কলেজের উদ্যমী তরুণ মিসবাহুল আজীমের সম্পাদনায় প্রকাশিত ভাঁজপত্র ‘চারপাতা’য় হাসানের প্রথম লেখা ছাপা হয়, লেখাটির বিষয় ছিল রাজশাহীর আমের মাহাত্ম্য। তবে সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকায় পত্রিকায় ১৯৬০ সালে ‘শকুন’ শীর্ষক গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে হাসান আজিজুল হক সাহিত্যাঙ্গনে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে কৈশোর জীবনেই তার সাহিত্যচর্চার হাতেখড়ি। তিনি যখন কাশীশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র তখন ঐ স্কুলে রাজা সৌমেন্দ্র চন্দ্র নন্দীর আগমন উপলক্ষ্যে একটি সম্বর্ধনাপত্র রচনার মধ্য দিয়ে তার লেখালেখি জীবনের শুরু। এছাড়া প্রবেশিকা পাশের পরপরই তিনি লেখেন ‘মাটি ও মানুষ’ শীর্ষক একটি উপন্যাস; যে রচনাটি অদ্যাবধি অপ্রকাশিত। ‘শকুন’ গল্পটি প্রকাশের আগেই ১৯৫৬ সালে নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ‘মুকুল’ পত্রিকায় তার ‘মাটি ও পাহাড়’ শীর্ষক একটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া বিএল কলেজবার্ষিকীতে তার ‘লাঠি’ শীর্ষক একটি ছোটগল্প এবং ‘সাগর পারের পাখিরা’ শীর্ষক একটি কবিতা প্রকাশের কথাও জানা যায়। এ সময় ‘পাষাণ বেদী’ নামে একটি গল্পও প্রকাশ পেয়েছিল অন্য একটি কলেজবার্ষিকীতে। সাহিত্যচর্চার প্রথম দিকে হাসান আজিজুল হক কবিতা রচনায়ও আগ্রহী হয়েছিলেন। ‘বিনতা রায় : আমি’, ‘নিরর্থক’, ‘গ্রামে এলাম’, ‘দিনাবসান’, ‘কথা থাক’, ‘রবীন্দ্রনাথ’ প্রভৃতি কবিতা তিনি ১৯৫৭ সালে রচনা করেছিলেন। তিনি ১৯৫৭ সালে ‘শামুক’ শীর্ষক একটি উপন্যাস রচনা করে ‘মানিক স্মৃতি উপন্যাস প্রতিযোগিতা’য় অংশগ্রহণ করেন। ‘শামুক’ উপন্যাসের আংশিক প্রকাশিত হয়েছিল রাজশাহী থেকে প্রকাশিত জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ও মুস্তাফা নূরউল ইসলাম সম্পাদিত পূর্বমেঘ ত্রৈমাসিক পত্রিকায়। ছয় যুগ পর ২০১৫ সালে এ উপন্যাসিকাটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়।

১৯৬০ সালে ‘পূর্বমেঘ’ পত্রিকায় ‘একজন চরিত্রহীনের স্বপক্ষে’ গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পরই তিনি একজন ব্যাতিক্রমী কথাশিল্পী হিসেবে পরিগণিত হতে থাকেন। অচিরেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বশীল সবগুলো পত্রিকায় তার ছোটগল্প প্রকাশিত হতে থাকে। ‘পূবালী’, ‘কালবেলা’, ‘গণসাহিত্য’, ‘ছোটগল্প’, ‘নাগরিক’, ‘পরিক্রম’, ‘কণ্ঠস্বর’, ‘পূর্বমেঘ’ প্রভৃতি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন। ১৯৬৩ সালে সুহৃদ নাজিম মাহমুদের সহযোগিতায় সন্দীপন গোষ্ঠী নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে হাসান আজিজুল হক যুক্ত হন। হাসান আজিজুল হক এ সময় সুহৃদ নাজিম মাহমুদের সাথে যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেন ‘সন্দীপন’ শীর্ষক একটি সাহিত্য পত্রিকা। ষাটের দশকের প্রথম দিকে নাজিম মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, জহরলাল রায়, সাধন সরকার, খালেদ রশীদ প্রমুখ সংগ্রামী কয়েকজন তরুণের চেষ্টায় গঠিত হয়েছিল ‘সন্দীপন গোষ্ঠী’।

প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’ এর প্রথম গল্প ‘শকুন’ এ সুদখোর মহাজন তথা গ্রামের সমাজের তলদেশ উন্মোচিত করেছিলেন তিনি। প্রায় অর্ধশতাব্দীর গল্পচর্চায় বিষয়, চরিত্র ও নির্মাণকুশলতায় হাসান আজিজুল হক অনেক উল্লেখযোগ্য গল্পের রচয়িতা। এসবের মধ্যে রয়েছে ‘শকুন’, ‘তৃষ্ণা’, ‘উত্তরবসন্তে’, ‘বিমর্ষ রাত্রি, প্রথম প্রহর’, ‘পরবাসী’, ‘আমৃত্যু’ ‘আজীবন’, ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘খাঁচা’, ‘ভূষণের একদিন’, ‘ফেরা’, ‘মন তার শঙ্খিনী’, ‘মাটির তলার মাটি’, ‘শোণিত সেতু’, ‘ঘরগেরস্থি’, ‘সরল হিংসা’, ‘খনন’, ‘সমুখে শান্তির পারাবার’, ‘অচিন পাখি’, ‘মা-মেয়ের সংসার’, ‘বিধবাদের কথা’ ‘সারা দুপুর’ ও ‘কেউ আসেনি’।

১৯৬০ সালে বৃত্তায়ন নামের একটি উপন্যাস লিখলেও তিনি নিজেই এটির বড় সমালোচক। এ রচনাকে তিনি নিজেই উপন্যাস হিসেবে অস্বীকার করে থাকেন। তবে আগুনপাখি নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে। উপন্যাসটি প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের স্বীকৃতি লাভ করে। এ উপন্যাসের জন্য তিনি ২০০৮ সালে কলকাতা থেকে আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‌‌’সাবিত্রী উপাখ্যান’ ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়। ‘শিউলি’ নামে আরও একটি ছোট উপন্যাস তিনি লিখেছেন।

পারিবারিক জীবন:

গল্পকার হাসান আজিজুল হকের স্ত্রীর নাম শামসুন নাহার। তিনি কয়েক বছর আগে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। তিনি তিন কন্যা কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন।

হাসান আজিজুল হকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে :

গল্পগ্রন্থ: ১.সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য (১৯৬৪), ২. আত্মজা ও একটি করবী গাছ (১৯৬৭), ৩. জীবন ঘষে আগুন (১৯৭৩), ৪. নামহীন গোত্রহীন (১৯৭৫), ৫. পাতালে হাসপাতালে (১৯৮১), ৬. নির্বাচিত গল্প (১৯৮৭), ৭. আমরা অপেক্ষা করছি (১৯৮৮), ৮. রাঢ়বঙ্গের গল্প (১৯৯১), ৯. রোদে যাবো (১৯৯৫), ১০. হাসান আজিজুল হকের শ্রেষ্ঠগল্প (১৯৯৫), ১১. মা মেয়ের সংসার (১৯৯৭), ১২. বিধবাদের কথা ও অন্যান্য গল্প (২০০৭)।

প্রবন্ধ:

১. কথাসাহিত্যের কথকতা (১৯৮১), ২. চালচিত্রের খুঁটিনাটি (১৯৮৬), ৩. অপ্রকাশের ভার (১৯৮৮), ৪. সক্রেটিস (১৯৮৬), ৫. অতলের আধি (১৯৯৮), ৬. কথা লেখা কথা (২০০৩), ৭. লোকযাত্রা আধুনিক সাহিত্য (২০০৫), ৮. একাত্তর : করতলে ছিন্নমাথা (২০০৫), ৯. ছড়ানো ছিটানো (২০০৮), ১০. কে বাঁচে কে বাঁচায় (২০০৯), ১১. বাচনিক আত্মজৈবনিক (২০১১), ১২. চিন্তন-কণা (২০১৩), ১৩. রবীন্দ্রনাথ ও ভাষাভাবনা (২০১৪)।

উপন্যাস:

১. আগুনপাখি ২০০৬, ২. সাবিত্রী উপাখ্যান (২০১৩), ৩ শামুক (২০১৫)।

উপন্যাসিকা:

বৃত্তায়ন (১৯৯১) ও শিউলি (২০০৬)

নাটক:

চন্দর কোথায় (জর্জ শেহাদের নাটকের ভাষান্তর)

শিশুসাহিত্:

লালঘোড়া আমি (১৯৮৪ সালে প্রকাশিত কিশোর উপন্যাস) ও ফুটবল থেকে সাবধান (১৯৯৮ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গল্প)

স্মৃতিকথা/আত্মজীবনীমূলক

ফিরে যাই, ফিরে আসি (১ম অংশ, ২০০৯); উঁকি দিয়ে দিগন্ত (২য় অংশ, ২০১১); টান (২০১২); লন্ডনের ডায়েরি (২০১৩); এই পুরাতন আখরগুলি (৩য় অংশ, ২০১৪)।

সম্পাদিত গ্রন্থ

গোবিন্দচন্দ্র দেব রচনাবলী (তিন খণ্ড, ১৯৭৯); দুই বাংলার ভালোবাসার গল্প (যৌথ, ১৯৮৯); একুশে ফেব্রুয়ারি গল্প সংকলন (২০০০); কুসুমে কুসুমে স্মারকচিহ্ন (অধ্যাপক মফিজউদ্দিন স্মারকগ্রন্থ); জন্ম যদি তব বঙ্গে (সারোয়ার জাহান স্মারকগ্রন্থ); বং বাংলা বাংলাদেশ (যৌথ, সনৎকুমার সাহা সম্মাননাগ্রন্থ, ২০১২);  রমেন্দ্রনাথ ঘোষ : দার্শনিক প্রবন্ধাবলি (যৌথ, ২০১৪)।  এছাড়া তিনি ‘প্রকৃতি’ নামে একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতির ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্রিকা সম্পাদনা করেন। এটির ১ম সংখ্যার প্রকাশকাল ১৯৯২। পত্রিকাটির চারটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।

রচনাসংগ্রহ

হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-১ (২০০১); হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-২ (২০০১); হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-৩ (২০০২);হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-৪ (২০০৩); হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-৫ (২০০৭); হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-৬ (২০১১)।

পুরস্কার

তিনি ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৭০-এ বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আরও অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ১৯৯৯ -এ তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সন্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি পান।

অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে :

বাংলাদেশ লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩); অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১); আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩); অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪); ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮); কাজী মাহবুবউল্লাহ ও বেগম জেবুন্নিসা পুরস্কার (১৯৯৪); খুলনা সাহিত্য মজলিশ সাহিত্য পদক (১৯৮৬); রাজশাহী লেখক পরিষদ পদক (১৯৯৩ ); সাতক্ষীরা সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার (১৯৯৭); দিবারাত্রির কাব্য সাহিত্য পুরস্কার (পশিচমবঙ্গ) (১৯৯৭); শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমী পুরস্কার (১৯৯৯); রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (২০০২); আব্দুর রউফ স্মৃতি পরিষদ সাহিত্য পুরস্কার (হবিগঞ্জ) (২০০৩); ক্রান্তি পদক (২০০৪); অমিয়ভূষণ সম্মাননা (জলপাইগুড়ি) (২০০৪); গ্রুপ ধিয়েটার ফেডারেশান সম্মাননা (২০০৬); প্রথম আলো বর্ষসেরা বই (২০০৭); মার্কেন্টাইল ব্যাংক পুরস্কার (২০০৭); হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার (২০১৬); সেলিম আল দীন লোকনাট্য পদক; শওকত ওসমান সাহিত্য পুরস্কার (২০১৮) ; সাহিত্য রত্ন পুরস্কার (২০১২); সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৯)।

এএইচ/এস