একজন পরিচালকের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার, দাবি অনন্য মামুনের

সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় অশ্লীলতা এবং পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পরিচালক অনন্য মামুন। কারাগারে থাকা অবস্থায় পরিচালক সমিতির কয়েকজন নেতা গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। জামিনে মুক্ত হয়েই মুখ খুলেছেন এই নির্মাতা। নানা সময়ে আসা অভিযোগ সম্পর্কে অনন্য মামুন শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি পরিচালক সমিতির একজন পদস্থ নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘মোহাম্মদ জে…. নামের একজন পরিচালক আছেন, যিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সহ্য করতে পারেন না।’

অনন্য মামুন বলেন, ‘কথাটা ক্লিয়ার করে বলি, পরিচালক সমিতির সদস্যপদ না থাকলে সিনেমা বানাতে পারব না কথাটি সত্য নয়, পরিচালক সমিতির সদস্য পদ না থাকলে আমি পরিচালক সমিতির সুযোগ-সুবিধা পাব না, ২০১৬ সালে অস্তিত্ব সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় নুসরাত ইমরোজ তিশা, এবং ২০১৯ সালে তারিক আনাম খান জাতীয় পুরস্কার পান আবার বসন্ত সিনেমার জন্য, সিনেমাগুলো আমার পরিচালনায়।’

নাম ইঙ্গিত করে নির্মাতা বলেন, ইনশাআল্লাহ এবার নবাব এলএলবি সিনেমায়ও অনেক পুরস্কার আসবে। আর মোহাম্মদ জে…. নামের একজন পরিচালক আছেন, যিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সহ্য করতে পারেন না। কারণ তার সিনেমাগুলো আমার কাছে অখাদ্য মনে হয়। বলে রাখি, এ বছর অনন্য মামুন পাঁচটি সিনেমা বানাবে, প্যাড, ক্রেজি, ঈদ মোবারক, ভাইজান-২ ও পাইলট।

মামলা প্রসঙ্গে অনন্য মামুন বলেন, ‘আমার মামলাটা শেষ হয়নি, তাই মামলা নিয়ে কথা বলতে চাই না। সম্মান জানাই গুলজার ভাই, খোকন ভাই, লিপু ভাই, খসরু ভাইকে। আর একটা কথা, নেতা কাকে বলে সেটা জানতে হলে এস এ হক অলিক ও শহীদ্দুজামান সেলিম ভাইয়ের কাছ থেকে শেখার আছে। । আমি দেখেছি, কোনো কারণ ছাড়া তারা আমাকে কত হেল্প করছে…আমি পরিচালক সমিতিকে সম্মান করি; কিন্তু কিছু হিংসাপরায়ণ পরিচালককে না।

সম্প্রতি অনন্য মামুন নবাব এলএলবি চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যের জন্য পর্নোগ্রাফি আইনে রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

সূত্র: কালের কন্ঠ