একই সঙ্গে দুই চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস মহামারীর পাশাপাশি ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ভারতের জন্য দ্বিগুণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। দেশটির দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর(এনডিআরএফ) প্রধান এস এন প্রধান মঙ্গলবার এমন তথ্য দিয়েছেন।

আগামীকাল বিকালে ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানতে যাওয়া ঝড়টির মোকাবেলায় দেশটির প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।- খবর এনডিটিভির

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার নিম্নাঞ্চল থেকে লাখ লাখ লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এনডিআরএফের এসএন প্রধান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে অবশ্যই কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যাকে আমরা সেই কথা বলেছি।

‘এই প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আমরা একসঙ্গে দুটি প্রতিকূলতার মোকাবেলা করছি। প্রথমত করোনাভাইরাস, দ্বিতীয়ত ঘূর্ণিঝড়।’

এসএন প্রধান বলেন, জেলাগুলোয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা স্কুল ও কলেজ ভবনগুলো জীবাণুমুক্ত করা হবে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার আরও কাছে চলে এসেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এটি উড়িষ্যার পারাদ্বীপ থেকে মাত্র ৫২০ কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

একই সময়ে ঝড়টি ছিল বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে।

বঙ্গোপসাগরের জানা ইতিহাসে আম্পানকে দ্বিতীয় ‘সুপার সাইক্লোন’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। আগেরটি ছিল ১৯৯৯ সালের উড়িষ্যা সাইক্লোন। ২০০৭ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডরের চেয়েও আম্ফানের শক্তি এখন বেশি বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরের দিকে ঝড়টি পারাদ্বীপ থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, দিঘা থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ছিল বলে জানিয়েছে তারা।

স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এটি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে। ওই সময় উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল জলোচ্ছ্বাসও দেখা দিতে পারে।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর আম্ফানের গতিমুখ উত্তর-পশ্চিম দিকে থাকলেও পরে তা পশ্চিবঙ্গের দিকে বাঁক নেয়।