এই সময়ে মসৃণ ত্বক পেতে যা করবেন

দুই দিন খুব শীত তো আবার হঠাত্ বেশ গরম। এমন আবহাওয়ায় ত্বকের সুস্থতার প্রতি নজর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে মসৃণ ত্বকের প্রতি। কী করবেন পরামর্শ দিয়েছেন বিন্দিয়া বিউটি কেয়ারের রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।

লিখেছেন মোনালিসা মেহরিন।

এখন এমন আবহাওয়া যে তাল মেলানো কঠিন। আবহাওয়ার এমন চোর-পুলিশ খেলার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে শুধু সুস্থ আর সুন্দর ত্বক। শীতে এমনিতেই ত্বক বেশ নাজুক থাকে। দেরি করে ঘুমানো, বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা, হাত-মুখ ধোয়ার বেলায় আলসেমি।

এসবের বিরূপ প্রভাব তো পড়েই আমাদের ত্বকে। তার ওপর যদি না শীত, না গরম আবার হঠাত্ একটু-আধটু বৃষ্টিও ছুঁয়ে যায়, তাহলে তো ত্বকের সুস্থ থাকাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। এ জন্য সবার আগে সুস্থ, সুন্দর ও শৃঙ্খল জীবন যাপন জরুরি। সেই সঙ্গে ত্বকের সুস্থতার প্রতিও নজর দিতে হবে সমানতালে।

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখুন

শীতে শরীরের মরা কোষ ওঠার প্রবণতা বাড়ে। এ জন্য ত্বকে খসখসে ভাব দেখা দেয়। এটা দূর করতে মরা চামড়া নিয়মিত স্ক্র্যাব করে তুলে ফেলুন। কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তাতে হাত ও পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বক ভেজা অবস্থা থাকতেই ভালো কোনো লোশন বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

বুঝেশুনে পোশাক পরুন

পরিবেশ বুঝে পোশাক বেছে নিন। বেশি শীত পড়লে উষ্ণ পোশাক পরুন। শীত কম বোধ করলে হালকা পোশাকে বের হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ কম শীতে বেশি গরম কাপড় পরিধান করলে একটু পরই ঘামতে শুরু করবেন। অতিরিক্ত ঘাম থেকে ত্বকের জ্বালাপোড়া, চুলকানির মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বক রুক্ষ হয়ে উঠতে পারে। এ জন্য সুতির আরামদায়ক পোশাক বেছে নিন। বাইরে বের হওয়ার আগে ত্বকের খোলা অংশে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

বেশি বেশি পানি পান

শীতে তৃষ্ণা কম পেলেও বেশি বেশি পানি পান করা জরুরি। কারণ শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বলে শরীর থেকে প্রচুর পানি শুষে নেয়। এ জন্য ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয়, ঠোঁট ফাটতে শুরু করে, গালে চিড় ধরে। বেশি বেশি পানি পানের পাশাপাশি পানিজাতীয় নানা খাবার ও ফলমূল খান। ত্বক সুস্থ ও মসৃণ থাকবে।

শীতের সবুজ শাকসবজি খান

শীতকালে প্রচুর সবুজ ও রঙিন সবজি পাওয়া যায়। এগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি বেশি সবজি খাওয়া ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। শাক-সবজি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এগুলোয় থাকা আঁশ বা ফাইবার ভাত, মাছ ও মাংসের মতো কঠিন খাবার সহজে বিপাক করতে সাহায্য করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয় যা ত্বকের জন্যও উপকারী।

ম্যানিকিউর  পেডিকিউর

এই রকম আবহাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিতে মাসে একবার ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করুন। এখন প্রাকৃতিক নানা উপাদানের ম্যানিকিউর, পেডিকিউর বেশ জনপ্রিয়। এগুলোতে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার হয় না বললেই চলে। মধু, বরফ, মোম, ফলমূলের নির্যাস ব্যবহূত হয় প্রাকৃতিক ম্যানিকিউর ও পেডিকিউরের বেলায়। এতে ত্বক পায় প্রাকৃতিক উপাদানের ছোঁয়া। এ জন্য প্রকৃতির প্রতিকূলতার বিরুদ্ধেও লড়ার রসদ পাবে আগে থেকেই।

রূপ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

এমন আবহাওয়ায় প্রস্তুতি সত্ত্বেও ত্বকে সমস্যা হতেই পারে। একেকজনের সমস্যাও আবার একেক রকম। তাই ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব থেকে টোটকা না নিয়ে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা ভালো কোনো পার্লারের রূপ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ