এই সংস্থার অ্যাম্বাসেডর হয়ে এখনো শিখছি: তাহসান

দেশের আলোচিত-বিতর্কিত ই-কমার্স সাইট ইভ্যালির অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান।

‘ফেস অব ইভ্যালি’ (শুভেচ্ছাদূত) হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার দুই বছরের চুক্তি হয়েছিল।

তবে গত সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান নাসরীন গ্রেফতার হওয়ার আগেই ইভ্যালি ছেড়ে দেন তাহসান।

ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাহসান সমালোচিত হলেও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হয়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।

এমন সংস্থার অ্যাম্বাসেডর হতে পেরে নিজেকে সম্মানিত বোধ করেন তাহসান।  তিনি বলেছেন, ‘এই সংস্থার অ্যাম্বাসেডর হয়ে আমি এখনো শিখছি, পড়ছি।’

সম্প্রতি ‘বড় মঞ্চের তারকা’ নামক অনুষ্ঠানের অতিথি হয়ে এসে উপস্থাপিকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমার এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তাহসান।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশের সেলিব্রিটিরা মানুষ ও দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেন।  এটা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা। আমি সেই দায়বদ্ধতা থেকেই এমন কোনো সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে সব সময় সুযোগ খুঁজতাম।  দুই বছর আগে রোহিঙ্গা সমস্যা খুব প্রকট ছিল বাংলাদেশে। সে সময় ইউএনএইচসিআর থেকে আমাকে আমন্ত্রন জানানো হয় তাদের প্রজেক্ট ভিজিট করতে। আমিও সুযোগ কাজে লাগাই। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাই। রোহিঙ্গাদের অবস্থা কী বা কেমন এবং তাদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। তখন থেকেই আমি ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করছি। ’

ইউএনএইচসিআরের অ্যাম্বাসেডর কেন হলে প্রশ্নে তাহসান বলেন, ‘বাংলাদেশ ৯ লাখের বেশি শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে উদারতার স্বাক্ষর রেখেছেন, এটা কিন্তু সারা বিশ্বেই প্রশংসা পাচ্ছে। ইউএনএইচসিআরও শরণার্থীদের নিয়ে ব্যাপক কাজ করছে। এই কাজটা কিন্তু সারা পৃথিবীতে কারও না কারও করতে হবে। এই কথাটিএই শরণার্থীদের বিষয়ে বাংলাদেশে এমন একজনের মুখ থেকে বলাতে হবে, যার কথা মানুষ বিশ্বাস করে। এ জন্য আমাকে প্রতিষ্ঠানটি শুভেচ্ছাদূত করার প্রস্তাব করে। এভাবেই আমি সম্পৃক্ত হয়ে যাই। এটা আমার জন্য খুবই সম্মানের। সারা বিশ্বে এমন অ্যাম্বাসেডর ৩০ জনের মতো আছেন। তারা কিন্তু সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিখ্যাত। তাদের কথা মানুষ শুনছে। আমি অ্যাম্বাসেডর হয়ে এখনো শিখছি, পড়ছি। আমার শুরুর দিকের সময় এখন। আগামী দুই বছর আমি শুভেচ্ছাদূত হিসেবে থাকব।’

 

সূত্রঃ যুগান্তর