‘এই বিধিনিষেধ রাজনৈতিক আন্দোলন মোকাবিলার জন্য দেওয়া হয়েছে’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন, যা গত বছরের অক্টোবরের পর এটি সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, প্রতিদিন আশঙ্কাজনক হারে শনাক্ত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিয়ে, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ এই বিধিনিষেধের আওতায় রয়েছে।

তবে বিএনপি বলছে, রাজনৈতিক আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য সরকার এই বিধিনিষেধ দিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, করোনাকে সরকার যখন রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে নেয় তখন তো এটার বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবিতে যেভাবে সারা দেশে গণজোয়ার শুরু হয়েছে তাতে সরকার বিধিনিষেধ, ১৪৪ ধারা দিচ্ছে। সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত। বিএনপির শক্তি সরকার পরিমাপ করতে পেরেছে। সরকার যে জনরোষে পড়েছে তা মোকাবিলা করতেই করোনাকে আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করেছে। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ মনে করে, এই বিধিনিষেধ রাজনৈতিক আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য দেওয়া হয়েছে, জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করে নয়।

‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সুচিকিৎসা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ন্যায়বিচারের দাবিতে’ সভার আয়োজন করে জিয়া নাগরিক ফোরাম।

অনুষ্ঠানে আগামী নির্বাচনের আগেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম বাক্স বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হবে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, নারায়ণগঞ্জকে এই সরকার উদাহরণ সৃষ্টি করতে চায়। তারা মনে করে নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আমার একটা কথা মনে হয়, এই সরকারের নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়- এই কথা শুনলে পশুপাখি-জানোয়ারও বিব্রত বোধ করে।

তিনি বলেন, আমাদের একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন- ‘আমেরিকায় লক্ষাধিক লোক প্রতিবছর নিখোঁজ হয়’। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, বাংলাদেশের অপকর্মের জন্য যদি আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে তাহলে আমেরিকাকে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন না কেন? আর আমেরিকাতে যেটা ঘটে সেটাই বাংলাদেশে ঘটবে- এটাকে জায়েজ করার চেষ্টা কেন করেন?’

 

সূত্রঃ যুগান্তর