বরিশাল সিটি নির্বাচন

উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি খোকনের, শঙ্কায় অন্য প্রার্থীরা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক পাওয়ার পর নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন হবে সবার জন্য উন্মুক্ত। নগরীর অবহেলিত জনপদের রাস্তাঘাট মেরামত, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

নৌকার এ প্রার্থী আরও বলেন, নগরবাসীর মাথার ওপর থেকে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স ফি কমানো ও সিটি থেকে সব অনিয়ম দূর করা হবে। সিটির সব সমস্যা চিহ্নিত করে সবাইকে নিয়ে তা সমাধান করা হবে। বরিশালে সুপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন করা হবে।

তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অন্য প্রার্থীরা। লাঙলের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস প্রতীক পেয়ে বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নিয়ে আমরা অনেক ঝামেলা দেখতে পারছি। সে কারণে আমরা ব্যালটে ভোটগ্রহণ চাচ্ছি। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সেনাবাহিনী মোতায়ন অতি জরুরি। কেননা সরকার দলের ছেলেপিলে প্রতিরাতেই মহড়া দিচ্ছে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।’

স্বতন্ত্র কামরুল আহসান রূপণ পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীক। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রতীকও ছিল টেবিল ঘড়ি। তাই টেবিল ঘড়িতে আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন রূপণ।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে রূপণ।

রূপণ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। বিগত ১৫ বছরে দেখেছি এ সরকারের অধীন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে উপ-নির্বাচন বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনোটাই সুষ্ঠু হয়নি। এখানে ইলেকশন ফিক্সিং হয়ে থাকে। সরকারি দল চায় না তাদের শরিক দল ছাড়া কেউ নির্বাচনে অংশ নিক। তাই মোটেও আশাবাদী নই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিজয় সুনিশ্চিত।’

হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচিত হলে ক্যাডারমুক্ত বরিশাল গড়া হবে। কোনো সন্ত্রাসী এ বরিশাল শহরে ঠাঁই পাবে না।’

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা ইভিএমে ভোটগ্রহণ চাচ্ছি না। কারণ গাজীপুরে ইভিএমে ভোটগ্রহণ দেখেছি। গভীর রাত করে যদি ফলাফল ঘোষণা করতে হয় তাহলে ইভিএমের সুফলটা কী?’

মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরপরই কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেয়র প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পরিচালনা কমিটি ও কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।