উধাও বতসোয়ানা থেকে আসা নারী, ওমিক্রন আতঙ্কে তাকে খুঁজছে মধ্যপ্রদেশ

মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন অজানা-অচেনা ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী। দ্রুত সংক্রমণশীল এই ভেরিয়েন্টের ধ্বংসক্ষমতা সম্পর্কে এখনো তেমন কিছু জানতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। এর তীব্রতা, সংক্রমণক্ষমতা এবং চিকিৎসা বা ভ্যাকসিনগুলোর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন আছে।

অন্যান্য দেশের মতো করোনায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতও নতুন আসা এই ভেরিয়েন্ট নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এর মধ্যেই ভারতের মধ্যপ্রদেশে ঘটেছে উদ্বেগের আরেক ঘটনা। গত ১৮ নভেম্বর জবলপুর ভ্রমণ করেন বতসোয়ানা (দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তঘেঁষা দেশ, যেখানে এই ভেরিয়েন্টের প্রথম আবির্ভাব বলে মনে করা হয়) থেকে আগত এক নারী। তাঁকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

জবলপুরের চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ অফিসার ডা. রতনেশ কুরারিয়া পিটিআইকে বলেন, বতসোয়ানা দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা ফোনে আমাদের জানান যে তিনি জবলপুরের একটি সামরিক সংস্থায় আইসোলেশনে আছেন। আমরা তাকে তার মোবাইল নম্বর এবং তার স্থানীয় যোগাযোগ শেয়ার করতে বলেছি।

তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য নজরদারি নির্দেশিকা অনুসারে (কভিড-১৯-এর বিস্তার পরীক্ষা করার জন্য) রেকর্ড অনুযায়ী খুনো ওরেমিট সেলিন নামে ওই নারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। রেকর্ড অনুসারে ওই নারী দিল্লি থেকে জবলপুরে এসেছিলেন। জবলপুরের দুমনা বিমানবন্দরের রেকর্ডে উল্লিখিত তার মোবাইল নম্বরের অবস্থান দিল্লিতে শনাক্ত হয়। পুলিশি তদন্তে দেখা গেছে, ফোনটি গত এক মাসে দিল্লির বাইরে সরানো হয়নি।

ডা. রতনেশ কুরারিয়া বলেন, ওই নারীকে খুঁজে বের করতে জবলপুর বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। জবলপুর এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর হোটেলগুলো থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সপ্তাহে ওমিক্রনকে করোনার ‘উদ্বেগজনক রূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। আর ভয়ের অন্যতম কারণ হলো- বলা হচ্ছে প্রচলিত ভ্যাকসিন এটাকে প্রতিহত করতে পারে না, যার কারণে করোনা মহামারি আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে।

ডা. কুরারিয়া বলেন, নজরদারি প্রক্রিয়ার অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মিতভাবে বিদেশ থেকে জবলপুরে আসা দর্শনার্থীদের তালিকা সরবরাহ করছে। গত মাসে যুক্তরাজ্য থেকে ১৬৪ জন জবলপুরে যান। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের শহর জবলপুরে গত বছরের ৩০ মার্চ রাজ্যের প্রথম করোনভাইরাস রোগীর দেখা মেলে। তখন দুবাই এবং জার্মানি থেকে ফিরে আসা তিনজন করোনা পজিটিভ হন।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ