উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

করোনাভাইরাস মহামারির সময় এবং এর পরবর্তীতে টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সৃজনশীল ধ্যান-ধারনা ও উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে তরুণ ও যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যুবকদের স্থিতিশীল ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ধারণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নিজেদের সম্পৃক্ত করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। প্রাণবন্ত যুবকরা তা দেখাতে সক্ষম হবে বলে আমরা আশা করি।’

আজ সোমবার (২৭ জুলাই) দুই দিনব্যাপী ‘ঢাকা-ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ উৎসব উদ্বোধনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সেইসঙ্গে তিনি ‘সমতা ও সমৃদ্ধি : একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য’ এই শিরোনামে দুদিন ব্যাপী ‘রেসিলেন্ট যুব নেতৃত্ব শীর্ষ সম্মেলন’রও উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ চাইলে অর্থনৈতিক এবং নির্বাহী নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনড়তা বেছে নিতে পারে। আবার অপ্রতিরোধ্য বাধা অতিক্রম করতে নতুন ধারণা, নমনীয়তা এবং গতিশীলতা বেছে নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে যুবকদের তাদের ভবিষ্য নির্মাণে ধারণা এবং উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশীদার হওয়ার বিরাট সুযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি সরকারি, বেসরকারি খাত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং নেতাদের কাছে সর্বত্র বিশেষ চাহিদা তৈরি করেছে। এই সংকটে কী ধরনের নেতৃত্ব প্রয়োজন তা পূর্বনির্ধারিত নয়। কিন্তু এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে মানুষের মাইন্ডসেট এবং আচারণ সম্পৃক্ত।’

PM-youth

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমাদ আল-ওথাইমিন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, কাতারের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী সালেহ বিন গানেম আল আলী, আজারবাইজানের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আজাদ রহিমভ, ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ূথ ফোরামের (আইসিওয়াইএফ) প্রেসিডেন্ট তাহা আইয়ান।

উল্লেখ্য, এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ১০০ জন ও বিশ্বের ১৫০ জন যুবক অংশগ্রহণ করবেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। ‘রেসিলিয়েন্ট ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘প্যারিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি: ফর এ রেসিলিয়েন্ট ফিউচার।’

এই ইয়ুথ সামিটে অংশগ্রহণের জন্য ৭৪টি দেশের ১২০০ জনের বেশি যুবক আবেদন করেছিলেন। আয়োজক কমিটি তাদের মধ্য থেকে ২৫০ জনকে বাছাই করেন। তাদের মধ্যে ১০০ জন বাংলাদেশি ও ১৫০ জন ওআইসিভুক্ত দেশ ও অন্যান্য দেশের। এই বাছাইকালে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লিঙ্গ সমতার ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে।