ঈদের পর রাজশাহীতে ফের শুরু ভার্চুয়াল কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদ উল ফিতরের ছুটি শেষে সারা দেশে ফের শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম। আজ বুধবার (২৭ মে) রাজশাহীতে ভার্চুয়াল কোর্টে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে রাজশাহীর আদালতসমূহে মোট ৮২ টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা জজ আদালতের বিচারক ও ভার্চুয়াল কোর্ট বিষয়ক মুখপাত্র এম. এ. সাঈদ শুভ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের আদালতে মোট ১০ টি মামলায় জামিন আবেদন দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৮ টি মামলার জামিন আবেদন শুনানি হয়। শুনানি শেষে ২ টি মামলায় মোট ২ জন আসামী জামিন প্রাপ্ত হন এবং অবশিষ্ট ৬ টি মামলায় হত্যা-ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকায় ৮ জন আসামীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়।

মহানগর দায়রা জজ ও, এইচ, এম ইলিয়াস হোসেনের আদালতে মোট ৫১ টি জামিন আবেদন দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৪০ টি মামলার জামিন আবেদন শুনানি হয়। শুনানি শেষে ১৮ টি মামলায় মোট ১৮ জন আসামী জামিন প্রাপ্ত হন এবং অবশিষ্ট ২২ টি ২২ জন আসামীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।

চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোট ৪৬ টি জামিন আবেদন দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১৮ টি মামলার জামিন আবেদন শুনানি হয়। শুনানি শেষে ৩ টি মামলায় মোট ৩ জন আসামী জামিন প্রাপ্ত হন এবং অবশিষ্ট ১৫ টি মামলায় ১৫ জন আসামীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।

এদিকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোট ১৬ টি জামিন আবেদন দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১৬ টি মামলার জামিন আবেদন শুনানি হয়। শুনানি শেষে ৫ টি মামলায় মোট ৫ জন আসামী জামিন প্রাপ্ত হন এবং অবশিষ্ট ১১ টি মামলায় ১১ জন আসামীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।

প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির জন্য আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরি জামিন সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা আসে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। এ লক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের আইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে বলা হয়।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, উল্লিখিত ই-মেইল আইডিতে জরুরি জামিন আবেদন, সংশ্লিষ্ট দালিলিক কাগজাদি এবং ওকালতনামা (সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর সদস্য নম্বর, ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর) স্ক্যান করে সফটকপি ভার্চুয়াল আদালতে দাখিল করতে হবে। আদালতের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এর ক্ষমতাবলে সুপ্রিমকোর্ট জারি করা ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ অনুসারে এই কোর্ট গঠন করার নির্দেশনা আসে।

এদিকে ভার্চুয়াল কোর্টের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচিত হওয়ার মাঝেই গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২ দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

স/অ