ঈদের জন্য প্রস্তুত ৩৮ মণের ষাঁড় গরু

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৮ মণের ষাঁড় গরু। ১১ ফুট লম্বা ও ছয় ফুট উচ্চতার এ গরুর নাম রাখা হয়েছে সম্রাট। ওজন ১ হাজার ৫শ কেজির বেশি (৩৮ মণ)। খামার মালিকের আশা তিনি সম্রাটকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এরই মাঝে দরদাম হাঁকছেন ফরিদপুরের কয়েকজন। কাঙ্ক্ষিত দামের কাছাকাছি গেছেন একজন। দরদাম ঠিক হলে ফরিদপুরেই বিক্রি হতে পারে সম্রাট।

ফরিদপুরের বায়তুল আমান এলাকার মাইশা ডেইরি ফার্মে বিশাল আকৃতির গরুটি লালন-পালন করা হয়। এ খামারে মোট ১১৮টি গরু রয়েছে। খামারের শ্রমিকরা জানান, ডেইরি ফার্মে মোট ১১৮টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্রাট। তারা জানান, বড় গরু পালন অনেক কষ্টের কাজ। এজন্য খাবার তৈরি করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাসহ নানা কাজে ভোর থেকে ব্যস্ত থাকতে হয়। এছাড়া বিক্রি করতে ঢাকায় নিয়ে যেতে হয়।

মাইশা ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম সবুজ যুগান্তরকে বলেন, এ খামারে ৪২ মাস আগে সম্রাটের জন্ম। সব মিলিয়ে এখন এর শরীরে মাংস রয়েছে ১৫০০ (৩৮ মণ) কেজির বেশি। প্রাকৃতিক ঘাস আর বিশেষ যত্ন নিয়েই বড় করে তোলা হয়েছে। প্রতিদিনের খাবার হিসেবে তাজা ঘাস, খড়, গম, ভুসি ও খৈল খাওয়ানো হয়।

তিনি আরও বলেন, কাঙ্ক্ষিত বেতনের চাকরি না পেয়ে ২০১৪ সালে মাত্র ৩ টি গরু দিয়ে পৈতৃক জমিতে খামার শুরু করেন। এরপর একে একে এখন খামারে গরুর সংখ্যা ১১৮টি। তার খামারে বর্তমানে গাভির ৪৮টি বাচ্চা (বাছুর) রয়েছে। তার দাম প্রায় ৩০ লাখ টাকা হবে। তার এ খামার দেখে অনেকে গরু পালনে উৎসাহী হয়ে খামার করেছেন। তিনি বলেন, যাদের কিছু জমি আছে তারা এ গরুর খামার করে লাভবান হতে পারেন।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নুরুল আহসান বলেন, গবাদিপশুর খাদ্যের দাম গত বছর একটু বেশি ছিল। তবে এখন আবার তা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। আমরা আশা করছি খামারিরা এ বছর গবাদিপশুর দাম ভালো পাবেন। এ বছর ফরিদপুরের গরু দিয়েই আমাদের চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ অন্যত্র পাঠাতে পারব। এছাড়া জেলায় কোরবানির পশুর হাটে ৯টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে।

সূত্র: যুগান্তর