ইসলামী জ্ঞান ভিত্তিক জাতি গঠনে ইমাম মোয়াজ্জিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : এনামুল হক


বাগমারা প্রতিনিধি :
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন জাতিকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের ভূমিকা অপরীসীম। ইসলাম ধর্মের প্রতিটি লোকজন ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করে। বিশেষ করে মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় ইমাম যে বয়ান দেয় তা একটি জাতিকে ধর্মীয় দিকে আগ্রহী করে তুলে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে অনেক অবদান রেখেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন স্থাপন করেছেন যা দেশে ধর্মীয় শিক্ষায় কাজ করছে। প্রতিটি মুসলমানের ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরী। ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে অনেক বিশৃংখা সৃষ্টি হয়। ইসলাম কোন প্রকার হানাহানি করার পক্ষে না। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। ইসলামের প্রকৃত ভাষা ইমামের মাধ্যমে মুসল্লীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইমাম-মোয়াজ্জিনরা সমাজের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। তারা চাইলে ধর্মীয় শিক্ষার বিধি নিষেধ সম্পর্কে লোকজনদের শিক্ষা গ্রহণ করাতে পারে। দিন দিন সমাজ থেকে নীতি নৈতিকতা কমে যাচ্ছে। সেটা ফিরিয়ে আনতে ইমাম মোয়াজ্জিনরা অনেক ভূমিকা পালন করে। শনিবার সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজ মিলনায়তনে “দৈনন্দিন জীবনে ইসলামিক মূল্যবোধ” শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে দৈনন্দিন জীবনে ইসলামিক মূল্যবোধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন ঢাকার আদাবর বায়তুল আমান সোসাইটি জামে মসজিদের ইমাম শাইখুল হাদীস আল্লামা হেলাল উদ্দিন।

প্রধান অতিথি বলেন, ইসলাম ধার করে পাওয়া না। এটি আল্লাহর সৃষ্টি। ইসলাম হচ্ছে প্রতিটি মানুষের জন্য পূণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। সবাইকে ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। দীনিশিক্ষা ব্যতীত কোন শিক্ষা জীবনে কাজে লাগবে না। মুসমানের ঘরে জন্মনিলেই হবে না। ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। সবাইকে মহান আল্লাহর প্রতিটি ইবাদতকে আঁকড়ে ধরতে হবে। ইসলাম থেকে বিচ্যুতি হওয়ার সুযোগ নেই। কোন ভাবেই মিথ্যা বা জাল জুয়াচুরির আশ্রয় নেয়া যাবে না। ইসলামী চর্চার বিকল্প নেই। দৈনন্দিন জীবনে ইসলামি মূল্যবোধ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা বলে শেষ করা যাবে না। সত্যকে আঁকড়ে ধরতে হবে। সত্যই একমাত্র মুক্তির পথ। লোক দেখানো ইবাদত কোন কাজে আসবে না।

ইসলাম কি সে ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রতিটি সন্তানকে সময় মতো নামাজ শিক্ষা করাতে হবে। সন্তান যখন কথা বলা শিখবে তখনই ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান শুরু করতে হবে। নামাজের বয়স হলে সাথে নিয়ে মসজিদে যেতে হবে। বিপথে যাওয়ার কোন সুযোগ দেয়া যাবে না। মিথ্যাকে সাথে নিয়ে ইবাদত করলে তা কবুল হবে না। তাই সবাইকে ইসলাম ধর্মের যে নীতি নৈতিকতা রয়েছে যে অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। লোকজনদেরকে ইসলামের পথে পরিচালনার জন্য ইমাম মোয়াজ্জিনদের অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে ইমামদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোফাজ্জল হোসাইন, আফাজুল আলম।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, আফতাব উদ্দীন আবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম, বায়তুল আমান সোসাইটি জামে মসজিদের ইমাম মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভায় উপজেলার প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন ইমাম-মোয়াজ্জিন সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আসা সকল ইমাম-মোয়াজ্জিনকে একটি করে রুমাল প্রদান করা হয়। সেই রুমাল মাথায় দিয়ে বসে ছিলেন তারা।