ইসরায়েলে যেতে হলে ১০ মিলিয়ন ডলার চাই : আফগানিস্তানের শেষ ইহুদি!

তালেবানের শাসন থেকে পালিয়ে আসা ‘আফগানিস্তানের শেষ ইহুদি’ বলে পরিচিত জেবুলন সিমান্তভ নামের এক ইহুদির জন্য ইসরায়েলে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এর বিনিময়ে তিনি ১০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছেন। এর সঙ্গে তাকে একটি শীতের কোট কেনার জন্যও টাকা দিতে হবে বলে দাবি তার। জিউইশ ক্রনিকল এ তথ্য জানিয়েছে।

৬২ বছর বয়সি জেবুলন সিমান্তভকে কাবুল থেকে লুকিয়ে নাম প্রকাশ না করা একটি দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন  ইসরায়েলি-আমেরিকান ব্যবসায়ী মতি কাহানা। পরে তাকে ইস্তাম্বুলে নেওয়া হয়। সেখানে জেবুলন একটি হোটেলে অবস্থান করছেন।

মতি কাহানা গত আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে জানান, জাবুলন “ব্যক্তিগত অর্থায়ন” পাওয়ার শর্তে ইসরায়েলে যেতে রাজি হয়েছে। ‘আমি ইহুদিদের তাদের নিজের চলার খরচের জন্য অর্থ প্রদান করছি না। আমি এখানে সাহায্য করতে এসেছি। আমি আপনার ভরণপোষনের জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করতে এখানে আসিনি,’ তিনি বলেন।

ইস্তাম্বুল ভিত্তিক অ্যালায়েন্স অফ রাব্বিস ইন ইসলামিক স্টেটসের চেয়ারম্যান রাব্বি মেন্ডি চিত্রিক জানান, ‘জেবুলন দাবী করেছিলেন যে, তার কিছু ঋণ আছে যা তিনি চলে যাওয়ার আগে শোধ করে যেতে চান। চিত্রিক বলেন, আমরা মানুষের ঋণ কভার করার ব্যবসা করি না। আমরা মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজ করি। যদি তাদের বাঁচানোর প্রয়োজন হয় তবেই’।

মতি বর্তমানে জেবুলনকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিচ্ছেন, যা জেবুলন প্রথমে গ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু পরে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। এবং এর পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তবে মতি তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার তালিকায় নেই এবং ভিসা প্রক্রিয়াটি শেষ হতে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এরপর জেবুলন ইসরায়েলে যাওয়ার বিনিময়ে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপুরণ দাবি করে। আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসার সময় তার যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য এই অর্থ দাবি তার! সেইসঙ্গে একটি শীতের কোটের জন্য কিছু অর্থ দিতে হবে তাকে। জবাবে মতি বলেছেন, “আমি বেবিসিটার নই,”। ‘আমি আজীবনের জন্য ইস্তাম্বুলে জেবুলনকে অর্থায়ন ও সমর্থন করতে পারব না। এবং আমি তাকে জানিয়ে দিয়েছি, আমি তাকে কাবুলেও ফিরিয়ে নেব না।

উল্লেখ্য, ২০ বছরেরও বেশি সময় প্রত্যাখ্যানের পর তিনি অবশেষে গত মাসে ইসরায়েলে অবস্থিত তার স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন!

 

সূত্রঃ যুগান্তর