কানাডিয়ান লয়ার্স ফর ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটসের (সিএলএআইএইচআর) বোর্ড সদস্য হেনরি অফ বলেছেন, আমরা কানাডাকে তার নিজস্ব মান ও তার আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা ধরে রাখতে চাইছি। আমরা চাই না কানাডার সরকার গাজার ব্যাপক অনাহার ও বোমাবর্ষণে অবদান রাখুক। কানাডার অবদান বন্ধ করার একটি উপায় হলো [ইসরায়েলের প্রতি] সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া।
সিএলএআইএইচআর ফেডেরাল আদালতে মেলানি জোলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা মানবাধিকার আইনজীবীদের একটি গ্রুপ। জানুয়ারির শেষের দিকে গ্রুপটি কানাডিয়ান সরকারের কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছিল। চিঠিতে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কানাডার রপ্তানিকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে অটোয়াকে ‘অবিলম্বে’ অস্ত্র ও প্রযুক্তি রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে ইসরায়েলে কানাডিয়ান অস্ত্র রপ্তানি মোট ১৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কানাডিয়ান ডলারের হিসাবে এটি ২১ দশমিক ৩ মিলিয়ন।
সরকারি তথ্য উদ্ধৃত করে, দ্য ম্যাপেল নিউজ ওয়েবসাইট গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, গাজায় সংঘটিত যুদ্ধে কানাডা প্রথম দুই মাসে ইসরায়েলে নতুন সামরিক রপ্তানির জন্য কমপক্ষে ২০ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার (২৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান) অনুমোদন করেছে।
প্রতিবেদনটি কানাডাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এ নিয়ে বিক্ষোভও হয়। বিক্ষোভকারীরা এমন রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানান। গত সপ্তাহেও বিক্ষোভকারীরা ভ্যাঙ্কুভার, কুইবেক সিটি ও স্কারবোরোসহ কানাডার বিভিন্ন শহরে অস্ত্র কোম্পানি বাইরে সমাবেশ করেছিল।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলে কানাডার সামরিক সরঞ্জামের সিংহভাগ অংশ উপাদান আকারে রপ্তানি হয়। এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স ও স্পেস ইকুইপমেন্ট; সামরিক মহাকাশ রপ্তানি ও উপাদান; বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট এবং সাধারণ সামরিক বিস্ফোরক ও উপাদান।
বেশিরভাগ রপ্তানিই গোপনীয়তা অবলম্বন করে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন কোন কোম্পানি অস্ত্র ও যাবতীয় উপাদান রপ্তানি করছে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। কারণ, এসব সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ইসরায়েলে পৌঁছায়।