সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
সেহান বন্দর থেকে ইসরাইলে জ্বালানি তেল পাঠানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তুরস্কের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) এক লিখিত বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, তারা বাকু-তিবিলিসি-সেহান (বিটিসি) তেল পাইপলাইনের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। ১৯৯৯ সালের ১৮ নভেম্বর তুরস্ক, আজারবাইজান এবং জর্জিয়া দ্বারা স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে বিটিসি পাইপলাইন প্রতিষ্ঠিত হয়। তুরস্কের অংশটি বোটাস ইন্টারন্যাশনাল এএস দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে তুরস্কের অনুমোদন ছাড়া এই পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল বিক্রি করা যায় না।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই পাইপলাইন ব্যবহারের মাধ্যমে যারা তেল পাঠায়, তারা তুরস্কের ‘ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত’কে সম্মান জানিয়েছে। তাই ইসরাইলের জন্য কোনো চালান সেহান থেকে পাঠানো হয়নি।
গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অনেকগুলো দেশ ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য বা অন্যান্য সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে আসছে। তুরস্ক গত বছর ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত করে এবং সেই স্থগিতাদেশ অব্যাহত রেখেছে।
তবুও এ নিয়ে কিছু অভিযোগ তোলা হয়েছে। তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কিছু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং স্পষ্ট করেছেন যে, তুরস্ক গত মে মাস থেকে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে।
তবে পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাণিজ্য চালু রেখেছে। যা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থনের অংশ।
বোলাত আরও জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের মোট রপ্তানির প্রায় ২৫ শতাংশ তুরস্কের সঙ্গে সম্পন্ন হয়, যার মূল্য প্রায় ৭.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও তুরস্ক ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছে।
এদিকে গাজায় ইসরাইলের সামরিক হামলা এখনও চলমান রয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান ও স্থল হামলায় এ পর্যন্ত ৪৩,৬০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: যুগান্তর