ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হামাসের

কাতারের মধ্যস্থতায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

আপাতত দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে কোনো রকম আক্রমণ চালাবে না বলে সম্মত হয়েছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবস্থিত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের কার্যালয় থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত ইসরাইল সরকারিভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, কাতারের দূত মোহাম্মাদ আল-এমাদির সঙ্গে আলোচনার পর এই সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে যে, সর্বশেষ সংঘাতের রাশ টেনে ধরা হবে এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করবে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যুদ্ধবিরতির ফলে এমন কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে যা গাজার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ভূমিকা রাখবে।

হামাসের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, গাজা থেকে সব প্রতিরোধকামী সংগঠন হামলা বন্ধ করবে। এর বিনিময়ে ইসরাইল জ্বালানি সরবরাহ শুরু হবে এবং মঙ্গলবার থেকে গাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে।

গত ৬ আগস্ট থেকে প্রায় প্রতিদিনই গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তাদের দাবি, গাজা উপত্যকা থেকে নিয়মিত ইসরাইলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরক ভর্তি বেলুন পাঠানো এবং রকেট হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

২০০৭ সাল থেকে গাজা ভূখণ্ডে অবরোধ তৈরি করে রেখেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মিসর। গাজা ভূখণ্ডে হামাস ক্ষমতা নেয়ার পরেই মিসর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

শুধুমাত্র জীবনযাপনের মতো সামান্য রসদ গাজায় যেতে দেয়া হয়। গত কয়েক দিনে ইসরাইল সম্পূর্ণ অবরোধ তৈরি করেছিল বলে হামাসের দাবি।

এই পরিস্থিতিতে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করে কাতার। তেল আবিবে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকের বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইসরাইল সরকারিভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

কিন্তু হামাস জানিয়েছে, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে কোনো পক্ষই একে অপরকে আক্রমণ করবে না। ইসরাইল অবরোধ তুলবে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন গাজার মানুষরা।