সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বর্বর ইসরাইলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় তিনটি গণহত্যা চালিয়েছে। যাতে ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৮৬ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের দৈনিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৩,২৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,০১,৮২৭ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরাইলি বাহিনী তাদের আগ্রাসনের টানা ৩৯২তম দিনেও গাজায় ব্যাপকভাবে বোমা বর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে গাজায় বিদ্যমান অল্প কয়েকটি কার্যকর হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্তদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
অন্যদিকে উদ্ধারকর্মীদের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কারণ ইসরাইলি বাহিনী উদ্ধারকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।
উত্তর গাজায় উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, উত্তর গাজায় চলমান ইসরাইলি বাহিনীর হামলার কারণে দশ দিনেরও বেশি সময় ধরে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালানো তাদের একটি দলকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।
এদিকে আল-আওদা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, উত্তর গাজার হাসপাতালে কেবল একজন সার্জনই রয়েছেন। যাকেই কিনা সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।
পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন
এদিকে আল-মায়াদিনের গাজা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজায় আল-গান্দুর পরিবারকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করেছে।
মধ্য গাজার আল-নুসেইরাত ক্যাম্পের একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া কিছু পরিবারকেও বিমান হামলায় লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। হামলায় ১২ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
স্থানীয় মিডিয়ার তথ্যমতে, আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে নিহতদের মধ্যে চার ভাই— মোতাজ, মোহাম্মদ, ওমর এবং মুস্তাফা মাজান আবু খাদ্রা — অন্তর্ভুক্ত আছেন। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে মাহমুদ নামে তাদের আরও এক ভাই নিহত হন।
এ ধরনের হিংস্রতা এবং অবিরাম হামলায় গাজার পরিস্থিতি ক্রমশই আরও সংকটময় হয়ে উঠছে।
সূত্র: যুগান্তর