ইরানের নৈতিক পুলিশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

হিজাব ইস্যুতে ইরানের নৈতিক পুলিশ কাস্টডিতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ২২ বছর বয়সী তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। এদিকে এ ঘটনায় ইরানের নৈতিক পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ইরানি নিরাপত্তা ও নৈতিক পুলিশের সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তাদের বিরুদ্ধে নারীদের, নাগরিক সমাজের এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই নতুন নিষেধাজ্ঞা লক্ষ্য হচ্ছে, ইরানের নৈতিক পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ রোস্তামি চেশমেহ গাচি এবং তেহরানের জন্য এই বাহিনীর পরিচালক হাজ আহমেদ মিরজেই। একজন ইরানি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের পর মিরজেইকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মাহসাকে তারই তত্ত্বাবধানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

২২ বছর বয়সী আমিনি গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার আগে তিন দিন তেহরানের একটি নৈতিক পুলিশের কাস্টডিতে আটক আটক ছিলেন তিন। মূলত মাথায় হিজাব না পরার জন্য তাকে আটক করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরও রয়েছেন, ইরানের গোয়েন্দা বিভাগের মন্ত্রী ঈসমাইল খতিব, বাসিজ বাহিনীর উপ-অধিনায়ক সালার আবনুশ, আইন প্রয়োগ বাহিনীর উপ-অধিনায়ক কাসেম রেজাই, ওই বাহিনীর প্রাদেশিক বাহিনী মানুশের আমানুল্লাহি এবং ইরানি সেনার স্থলবাহিনীর কমান্ডার কিউমার্স হেইদারি।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এই সব কর্মকর্তা সেই সমস্ত সংগঠনের তদারকি করে যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের এবং ইরানের সুশীল সমাজের সদস্যদের, রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের এবং ইরানের বাহা’ই সম্প্রদায়ের লোকজনকে দমন করতে নিয়মিত সহিংসতা চালিয়ে থাকে।

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে এই সব ইরানি কর্মকর্তাদের সকল ধন-সম্পদ আটক করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশে তাদের সঙ্গে আর্থিক লেনেদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার চূড়ান্ত লক্ষ্য শাস্তি দেওয়া নয়, বরং তাদের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা।

 

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন