বুধবার , ৬ জুলাই ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ইরাক যুদ্ধে জড়ানো ছিল ভুল সিদ্ধান্ত

Paris
জুলাই ৬, ২০১৬ ৭:৫২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের সম্পৃক্ততা নিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত চিলকট তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ব্রিটেন সরকারের মন্ত্রীদের যুক্তি, পরিকল্পনা এবং সামরিক হস্তক্ষেপ যে ভুল ছিল তা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত এই সামরিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্যার জন চিলকটের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রুটিপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দেশের মানুষকে না জানিয়ে এই যুদ্ধে জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।

২৬ লাখ শব্দের ওই প্রতিবেদনে স্যার জন ইরাক যুদ্ধে সম্পৃক্ত হওয়াকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বিতর্কিত সেনা সম্পৃক্ততা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই উপসংহারে এসেছি যে, ইরাক যুদ্ধে যোগ দেওয়া ছাড়াও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা যেত। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইরাককে নিরস্ত্র করা যেত। ওই মুহূর্তে সেনা সম্পৃক্ততাই শেষ কথা ছিল না।’

ব্রিটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে পাওয়া তথ্যের সারাংশ হিসেবে স্যার জন বলেন, ‘ইরাক যুদ্ধে সম্পৃক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি ভুল ছিল, যার ফল আজো ভোগ করতে হচ্ছে।’

স্যার জন আরো বলেন, ‘সেনা অভিযান হয়তো কিছু কারণে জরুরি ছিল, কিন্তু ২০০৩ সালের মার্চ মাসে সাদ্দাম হোসেনের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি ছিল না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্যের অভিমত ছিল যে, সেখানে জাতিসংঘের পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখা হোক।’

ইরাক যুদ্ধ থেকে পাওয়া শিক্ষা ভবিষ্যতে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে কাজে লাগবে বলেও মনে করেন জন চিলকট।

স্যার জন চিলকট বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে বহুবার যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের শক্তি প্রমাণিত হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, যেখানে ব্রিটিশদের ইচ্ছের সঙ্গে মার্কিনিদের ইচ্ছের মিল থাকবে না, সেখানেও সমর্থন দিতে হবে।’

ভ্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য এবং মূল্যায়নের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্য ইরাক যুদ্ধে জড়ায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন স্যার জন। তিনি বলেন, এসব তথ্য দ্বিতীয়বার যাচাই করা হয়নি, অথচ তা করা উচিত ছিল। ইরাকে আক্রমণ চালানোর পর যখন পরিদর্শকরা ইরাক পরিদর্শনে যান, তখন তারা সেখানে টনি ব্লেয়ারের বর্ণনা অনুযায়ী অস্ত্রের বিপুল ভাণ্ডার দেখতে পাননি। অথচ যুদ্ধের আগে বলা হচ্ছিল, ইরাকে বিপুল বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে যা গোটা পৃথিবীর জন্য হুমকিস্বরূপ।

ইরাকে বিপুল গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদ রয়েছে এমন তথ্য প্রচার করে যুদ্ধের সমর্থন চাওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে স্যার জন চিলকট বলেন, ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে ইরাকে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র রয়েছে। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, সাদ্দাম হোসেন এসব অস্ত্র জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের এই দাবি তাঁরা প্রমাণ করতে পারেননি।

এ ছাড়া ইরাকে সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার পর কী হবে তা নিয়েও যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র কারো কোনো পর্যাপ্ত পরিকল্পনা ছিল না।

সূত্র: এনটিভি

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক