ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী ডিবি হেফাজতে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকিতে করা মামলার তদন্তভার পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার মামলাটি ধানমন্ডি থানা থেকে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি- ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ ও ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক দীপুকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে হাজী সেলিম ও ইরফান সেলিমের পক্ষে গতকাল পুরান ঢাকার একদল ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাদের দাবি, ইরফান সেলিম গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্য ‘ব্যাহত হচ্ছে’। দুপুরে পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

গত রোববার রাতে ধানমন্ডিতে হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার ইরফান সেলিমসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। এদিন পুরান ঢাকার দেবী দাস লেনে হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ইরফানকে মদ্যপান ও ওয়াকিটকি ব্যবহারের অপরাধে দেড় বছর এবং জাহিদকে ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ধানমন্ডি থানার মামলায় বুধবার ইরফান সেলিম ও জাহিদকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা দীপুকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ধানমন্ডি থানায় রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গ্রেপ্তারের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান সমকালকে জানান, ইরফান, জাহিদ ও দীপুকে গতকালই মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। ধানমন্ডি থানার মামলা ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনে ইরফানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে চকবাজার থানায়। এ মামলার বাদী র‌্যাব। এ মামলায় ইরফান ও জাহিদকে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ড আবেদন পাঠায় চকবাজার থানা পুলিশ।

‘হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার’: হাজী সেলিমের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব। তিনি বলেন, হাজী সেলিম পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের সুখে-দুঃখে সব সময় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছেন। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজী সেলিমকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তিনি জড়িত বলেও প্রচার করা হচ্ছে।

এতে পুরান ঢাকার ব্যবসা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তিনি তিনবার সংসদ সদস্য থাকাকালে তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাজী সেলিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার খবর প্রকাশ বা প্রচার না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করেন তিনি।

সূত্র: সমকাল