ইরফান সেলিমের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে সাত দিনের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ধানমন্ডি থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলি মিয়া।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কাউন্সিলর পদ থেকে ইরফান সেলিমকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, দণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিবেদন পেলে তাঁর (ইরফান সেলিম)  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি বরখাস্ত হবেন। স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইনে বলা হয়েছে, কেউ সাজা প্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হবেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর কলাবাগান ট্রাফিক সিগন্যালের অদূরে একটি মোটরসাইকেলকে জিপ গাড়ির ধাক্কা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটির সূত্রপাত রবিবার সন্ধ্যার পর। একপর্যায়ে ‘সংসদ সদস্য স্টিকার’ লাগানো গাড়িটি থেকে নেমে আরোহীরা মোটরসাইকেল আরোহী নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। এই অভিযোগে গাড়ির আরোহী ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজি মো. সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, গাড়িচালক মিজানুর রহমান ও দেহরক্ষী জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

গতকাল সোমবার (২৬ অক্টোবর) পুরান ঢাকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফানকে মদ্যপানের জন্য এক বছর এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দেহরক্ষী জাহিদকে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডের পর তাঁদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ