ইউরোপের করোনা সংকট; ভুল ভ্যাকসিন বেছে নেওয়া দায়ী?

ইউরোপের চলমান করোনভাইরাস সংকট অনেকটাই তার বয়স্ক জনসংখ্যার জন্য ভুল ভ্যাকসিন বেছে নেওয়ার কারণে হতে পারে বলে মনে করেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা-বস প্যাসকেল সরিওট।

ইউরোপের হাসপাতালগুলো নতুন রোগী ভর্তি হওয়া এবং নতুন আক্রান্তের এক জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। অস্ট্রিয়া এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে নতুন ​লকডাউন এবং বিধি-নিষেধ আরোপিত।

কেমব্রিজ-ভিত্তিক ব্রিটিশ-সুইডিশ মাল্টিন্যাশনাল ওষুধ প্রস্তুতকারকের প্রধান নির্বাহী প্যাসকেল সরিওট বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে এটি অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া হ্রাসের ফলাফল হতে পারে। বিশেষত এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন ভ্যাকসিনগুলোতে।

অনুমোদনের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ব্রিটেনে বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু ‘রক্ত জমাট বাঁধার’ সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর উদ্বেগের কারণে ইউরোপের বেশির ভাগ অংশে এর ব্যবহার হ্রাস পায়।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা-বস বিবিসির টুডে প্রগ্রামে বলেন, যখন আপনি যুক্তরাজ্যের দিকে তাকান, সেখানে সংক্রমণ শীর্ষ ছুঁয়েছিল। তবে ইউরোপের তুলনায় এত বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। যুক্তরাজ্যে, এই ভ্যাকসিনটি বয়স্ক লোকদের দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। যেখানে ইউরোপে প্রাথমিকভাবে লোকেরা ভেবেছিল যে এই ভ্যাকসিনটি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে কাজ করে না।

kalerkantho

সরিওট বলেন, যে টিকাগুলো এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে- যেমন মডার্না এবং ফাইজার-বায়োএনটেক প্রাথমিকভাবে একটি বড় অ্যান্টিবডি তৈরি করে। কিন্তু সেই সুরক্ষা কিছুক্ষণ পরেই হ্রাস পেতে শুরু করে। ওদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের মতো ভাইরাল ভেক্টর ব্যবহার করে এমন ভ্যাকসিনগুলো একটি শক্তিশালী টি কোষ তৈরি করতে পারে। যাকে তিনি বলছেন ‘শরীর দীর্ঘদিন মনে রাখে’।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে টি কোষকে উচ্চমাত্রায় উদ্দীপ্ত করে। যেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো টি কোষের প্রতিক্রিয়া। ভাইরাসটি আপনাকে আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গেই তারা জেগে ওঠে এবং এবং আপনাকে রক্ষা করে। তবে তাদের একটু সময় লাগে। তাই আপনি সংক্রমিত হতে পারেন। কিন্তু তারপর তারা উদ্ধারে আসে এবং আপনি হাসপাতালে ভর্তি হন না।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ