সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
গত বছরের জুলাইয়ে ইরানের ধর্মীয় সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খোমেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তেহরানকে রক্ষার জন্য ইউরোপীয় প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করবেন না।
কিন্তু ৯ মাস পর তার উপস্থিতিতে মন্ত্রীসভার বৈঠকে সে দেশের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, অন্তত ইউরোপীয় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বহাল রাখা যায়। যদিও হাসান রুহানির বক্তব্য সমর্থন করেননি আয়াতুল্লাহ আল খোমেনি।
নিজের সরকারি ওয়েবসাইটে গত সোমবার তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপের দেশগুলো স্বাভাবিকভাবেই বলবে, তারা ইরানের চাহিদামাফিক সুরক্ষা দেবে। তবে সেটাই ইরানের প্রধান ইস্যু নয়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাভেদ জারিফের পদত্যাগপত্র হাসান রুহানি প্রত্যাখ্যান করার এক সপ্তাহ পর আয়াতুল্লাহ আল খোমেনি এ ধরনের মন্তব্য করলেন। প্রসঙ্গত, পরমাণু চুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম।
ইরানের নেতাদের বিশ্বাস, কেবল তিনিই সেই চুক্তি বহাল রাখার ক্ষমতা রাখেন। ২০১৫ সালে তার মধ্যস্থতায় বিশ্বের ছয়টি শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করে ইরান।
খোমেনি বলেছেন, ইউরোপিয়ানরা খুব খারাপ, তারা সত্যিই খারাপ। আমি ইউরোপিয়ানদের ব্যাপারে অনেকবার বলেছি, তাদের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে নয়, গত কয়েকশ বছর ধরে তাদের যে আচরণ, তার ভিত্তিতে এ কথা বলছি। যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তার ব্যাপারে ইরান কখনো চুক্তি করবে না।
গত মাসেও তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে বিশ্বাস করা যাবে না এবং তাদের হাসিতে ভুলে গেলে চলবে না।