ইউক্রেন ইস্যু : আপাতত কূটনীতির পথে থাকতে একমত লাভরভ ও ব্লিঙ্কেন

ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে বৈঠক করলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ ইস্যুতে সংঘাতে না গিয়ে আপাতত কূটনীতির পথেই হাঁটতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

রাশিয়া তার উদ্বেগগুলো শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে তার জবাব দেবে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যে শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সমঝোতা হয়। রাশিয়া অচিরেই প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে বসতে পারে- এ রকম ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে মুখোমুখি বসেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলা হয়েছিল, এটাই ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সংঘাত এড়ানোর শেষ চেষ্টা।

জেনেভার হোটেল উইলসনে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ওয়াশিংটন আগামী সপ্তাহে মস্কোকে তার নিরাপত্তাবিষয়ক দাবিগুলোর লিখিত জবাব দিতে সম্মত হয়েছে। লাভরভ বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে এ মতৈক্য হয়েছে যে, আমরা আগামী সপ্তাহে আমাদের সব প্রস্তাবের লিখিত জবাব পাব। ‘ ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তাঁর খোলামেলা আলোচনা হয়েছে জানিয়ে লাভরভ বলেন, ‘অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ মর্মে সম্মত হয়েছেন যে, আমাদের মধ্যে যুক্তিসংগত সংলাপ দরকার। আমি আশা করছি এ নিয়ে আবেগের প্রবণতা হ্রাস পাবে। ‘

বৈঠকের আগে প্রতাশার মাত্রা ছিল কম। শুরুতেই সতর্ক করে দিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মস্কো এ আলোচনায় বড় অগ্রগতির আশা করছে না। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী। তবে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে তারা ‘ঐক্যবদ্ধ, ত্বরিত ও ভয়াবহ’ জবাব দেবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়াকে ইউক্রেনে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে আবারও সাবধান করে দেন। এরই মধ্যে রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অর্থনৈতিক অবরোধসহ গুরুতর শাস্তির হুমকি দিয়ে রেখেছে। তবে তাতে দৃশ্যত রাশিয়ার অবস্থান বদলায়নি।

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাশিয়া দেশটিতে আক্রমণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে। তবে তারা প্রতিবেশী ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ না দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার পাশ্চাত্যের মিত্রদের ওপর চাপ দিয়ে আসছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ