ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা; জড়িতদের বিচারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান বাবা-মা

দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাবা-মা ও ভাই অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। শুক্রবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ১ নম্বর ভিআইপি কেবিনে তাদের সাথে কথা হলে, তারা এমন দাবি জানান।

বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী (৭০) রমেক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ১ নম্বর ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাথে রয়েছেন তার স্ত্রী রমিছা বেগম ও ছেলে শেখ শরিফ।

ওয়াহিদা খানমের মা রমিছা বেগম বলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হক না কেন, তার শাস্তি হওয়া উচিত। দ্রুত শাস্তি হলে অন্যান্য অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয় পাবেন।

কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে খুব শান্ত শিষ্ট স্বভাবের। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। আল্লাহর রহমতে আমার মেয়ে এখন কিছুটা ভালো। তিনি তার মেয়ের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলাকারীদের দ্রুত বিচারর জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ওয়াহিদা খানমের ছোট ভাই পুলিশ সদস্য শেখ শরিফ বলেন, শুনেছি কয়েকজন অপরাধী ধরা পড়েছে। কেন তারা হামলা করলো জানি না। তবে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী জানান, ঘটনার সময় নিজের কন্যাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও আহত করে সন্ত্রাসীরা। মুখে কালো কাপড় বেধে সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে মেয়ে ওয়াহিদাকে আহত করে। তার চিৎকারে এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।

অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। তিনি অপরাধীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, বুধবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাতের আঁধারে ভেনটিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে বেডরুমে হাতুড়ি দিয়ে ওয়াহিদা খানমের ওপর এলোপাতাড়ি আঘাত করে তারা।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন