ইউএনও-ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় মোবাইল কোর্টে স্কুলছাত্র সাব্বির শিকদারকে দেওয়া দুই বছরের সাজা বাতিল করে ওই উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসিকে ঢাকা বিভাগ থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

একইসঙ্গে নির্বাহী অফিসার ও ওসির হাতে সাব্বির শিকদারের নির্যাতিত হওয়ার বর্ননা অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

 

আদালতে ইউএনও-ওসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন ও শ ম রেজাউল করিম। অপরপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

 

এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে ইউএনও রফিকুল ইসলাম ও ওসি মাকসুদুল আলমের হাতে নির্যাতিত হওয়ার বর্ননা দেন দণ্ডপ্রাপ্ত ছাত্র সাব্বির শিকদার। এদিন শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

 

সাব্বির শিকদারকে গত ২০ সেপ্টেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় ইউএনও ও ওসিকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাইকোর্ট।

 

এমপি সম্পর্কে ফেসবুকে মন্তব্যে বালককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে একটি ইংরেজি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের নজরে আনলে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন। সে অনুযায়ী তারা আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করেন।

 

খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘আমি আদালতকে বলেছি, যেখানে ওই ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। তদন্তের পর্যায়ে থাকা কোন বিষয়ে এভাবে মোবাইল কোর্টে দণ্ড দেওয়া যায় না। আর আসামি যদি শিশু হয়, তাহলে শিশু আইনে তার বিচার করতে হতো। সেটাও দেখতে হবে। এরপর আদালত তলবের আদেশ দেন।

 

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৭ অক্টোবর রফিকুল ইসলাম মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ওই বালককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এর আগের দিন টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল-সখিপুর আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় ওই বালকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন। মোবাইল কোর্টে দণ্ডের পর ওই বালককে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সখীপুরের প্রতিমা বঙ্কি গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুর আলমের ছেলে সাব্বির শিকদার।

সূত্র: রাইজিংবিডি