ইংল্যান্ডে গিয়েও বিপত্তি বাধালেন হাফিজ

বয়স ৩৯ পেরিয়েছে। ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে দলে টিকে থাকাই তো কঠিন। মোহাম্মদ হাফিজের মাথায় যেন সেই কথাটি থাকেই না। একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছেন। থামেননি ইংল্যান্ড সফরে গিয়েও।

ইংল্যান্ড সফরের আগে দলের সঙ্গে করোনা টেস্ট হয়েছিল হাফিজের। তাতে পজিটিভ ধরা পড়েন। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এই টেস্টে ভরসা পাননি। ব্যক্তিগতভাবে আবারও করোনা টেস্ট করান বর্ষীয়ান এই অলরাউন্ডার এবং করোনা ‘নেগেটিভ’ও হন।

করোনা টেস্টে নেগেটিভ হওয়ার এই খবর আর চাপিয়ে রাখতে পারেননি হাফিজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেন। পিসিবি পেয়েছিল পজেটিভ, নিজে টেস্ট করে হলেন নেগেটিভ। ব্যাপারটা কেমন না! পিসিবি তাই হাফিজের এমন আচরণকে ভালো চোখে দেখেনি।

তারপরও দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরে গেছেন হাফিজ। করোনার এই সময়ে পুরো পাকিস্তান দলকেই রাখা হয়েছে বায়োসিকিউরিটি প্রটোকলে। অর্থাৎ দেশ থেকে করোনা পরীক্ষায় পাস করার পর ইংল্যান্ডে গিয়ে নেগেটিভ হলে তবেই একত্রে অনুশীলন কিংবা খেলার সুযোগ মিলছে।

কিন্তু হাফিজ যেন পরিস্থিতি বুঝতে নারাজ। ইংল্যান্ডে গিয়েও বাধালেন বিপত্তি। গলফ খেলে অপরিচিত এক বৃদ্ধার সঙ্গে ছবি তুললেন। সেটি আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।

টুইটারে বুধবার সকালে পোস্ট করা ছবিতে হাফিজ লিখেন, ‘আজ সকালে গলফ কোর্সে অনুপ্রেরণীয় এক নারীর সঙ্গে দেখা হলো। তার বয়স ৯০-এর বেশি এবং সুস্থ ও সুখী জীবনের অধিকারী। সুন্দর স্বাস্থ্যকর রুটিন।’

খেলোয়াড়দের অবশ্য অ্যাগাস বোলে গলফ খেলায় নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তবে বাইরের কারও সঙ্গে মেশা বারণ। হাফিজ সেই ভুলটিই করেছেন। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) মেডিকেল টিমের নজরে এসেছে ব্যাপারটা। তারা যদি অভিযোগ তুলেন, তবে পিসিবিকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

যদি প্রমাণ হয় হাফিজ নিয়ম ভেঙেছেন, তবে তাকে হোটেলে পাঁচদিন সেলফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে। তারপর দুটো কোভিড-১৯ টেস্টে নেগেটিভ হলে তবেই দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার অনুমতি পাবেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলছে পাকিস্তানের। হাফিজ টেস্ট দলে নেই। তবে ২৮ আগস্ট থেকে শুরু তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্যই ইংল্যান্ড সফরে গেছেন এই অলরাউন্ডার। এখন দেখা যাক, সিরিজটি খেলে আসতে পারেন নাকি আগেভাগেই দেশে ফিরতে হয় তাকে!