নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষ নিয়ে কৃষকদের নামে মামলা দায়েরে সহযোগিতা ও হয়রানির করায় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাবরিনা শারমিনের বদলির দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মামলার বাদী আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও বস্ত্রবিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান কৃষকরা।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, দুর্গাপুরের দুর্গাপুরের গগণবাড়িয়া ও চুনিয়াপাড়া গ্রামের মাঝখানে শতীনা বিল বা জলাশয় থেকে স্থানীয় কৃষকরা পানি সেচ দিয়ে ফসল ফলাতেন। এরই মধ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও বস্ত্রবিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর রহমান স্থানীয় সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতা কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবিব, আনিসুর রহমান, বদর সরদারের সহযোগিতায় ওই বিলের প্রায় ১৭ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খনন করেন।এর মধ্যে প্রায় ৯ বিঘা জমিই খাস খতিয়ানভূক্ত। তাকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।ফলে যাদের জমি দখল করে পুকুর করা হয়েছে, তাদেরও ঠিকমতো টাকা দেন না শাহিন। টাকা চাইতে গেলে উল্টো নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন তিনি। এ নিয়ে কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তেক্ষেপে বিষয়টি সমঝোতা হয়। তাতে কোনো পক্ষই ওই বিলে মাঝ ধরতে আপাতত নামতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শাহীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাবরিনা শারমিনের সহযোগিতায় বিলে আবার মাছ চাষ শুরু করেছেন। এতে বাধা দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় স্থানীয় কৃষক এবং দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ ১৭ জনের নামে মামলাও দায়ের করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, খাস জমি লিজ না দিয়ে একজন ব্যক্তিকে জোর করে মাছ করতে সহযোগিতা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।আবার কৃষকদের জমি ব্যবহার করতে না দিয়েে উল্টা তাদের নামেই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন এখনো বেপরোয়া আচরণ করে যাচ্ছেন।এই অবস্থায় দ্রুত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি এবং শাহিনসহ তাকে সহযোগিতাকারী অন্য আওয়ামী লীগ নেতাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান কৃষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা ইশরাফিল হোসেন, স্থানীয় কৃষক তোতা মিয়া, জীবন সরকার, আসাদুল ইসলাম, জামরুল হোসেন প্রমুখ।
তবে বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাবরিনা শারমিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি একটি তদন্তাধিন বিষয়। আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছি জেলা প্রশাসক স্যারকে। তবে কাউকে সহযোগিতা করছি না।’
স.আর